উত্তরে দাপট বজায় রেখেছে বিজেপি। হিন্দি বলয়ে জয় বের করতে পারল না কংগ্রেস। কিন্তু এই যে রাজ্য়ে রাজ্য়ে জাতিগত জনগণনার ধুয়ো তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, তার কী হল? বিজেপি নেতৃত্বের দাবি সুপার ফ্লপ হয়েছে কংগ্রেসের ওই প্রচার।
এদিকে বিহারে জাতিগত জনগণনা হওয়ার পর থেকেই আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল কংগ্রেস। খোদ রাহুল গান্ধী এনিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেসব বিশেষ কাজে এল না। তেলেঙ্গানায় হেরেছে বিজেপি। কিন্তু ভেঙ্কটা রামান্না রেড্ডি নামে বিজেপি প্রার্থী একদিকে যেমন কেসিআরকে পরাজিত করেছেন তেমনি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যাঁকে মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে প্রজেক্ট করা হয়েছিল সেই রেভান্থ রেড্ডিকেও পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ফলাফল আগামী লোকসভা ভোটে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। মূলত হিন্দি বলয় বলে পরিচিত যে রাজ্যগুলি রয়েছে সেখানে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা হু হু করে বাড়তে পারে। এটা বিজেপির কাছে অত্যন্ত আশার বিষয়।
উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, হরিয়ানার পাশাপাশি মধ্য়প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে এই ভোটের বড় প্রভাব পড়তে পারে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এখানে আরও ব্যাকফুটে চলে গেল কংগ্রেস। পাশাপাশি যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি পূরণ করার চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির। এতে আরও ব্যাকফুটে চলে যেতে পারে কংগ্রেস। কারণ এবার ডবল ইঞ্জিনের কথাও বলা হয়েছিল ভোট প্রচারে। আর সেক্ষেত্রে কেন্দ্রে যাতে বিজেপি থাকে তার সবরকম চেষ্টা করা হবে আগামী লোকসভাতে। ২০০ আসন বের করাটা আরও সহজ হয়ে গেল বিজেপির কাছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ৪০০ আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ফিরে আসবেন মোদীজি।
অন্যদিকে এতদিন ইন্ডিয়া জোটকে সামনে এনে তাল ঠুকছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু এবারের ভোটের ফলাফল অনুসারে বিরাট বিপর্যয় আসতে পারে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরেও। এদিকে বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দিল্লিতে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সেখানে তৃণমূল এখনও আমন্ত্রণ পায়নি বলে খবর। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের তরফে কে থাকবেন তা নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরেও তীব্র ডামাডোল এবার ইন্ডিয়া জোটের অন্দরেও।