বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > Karnataka Assembly Election Result: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ই কি কর্ণাটকে জেতাল কংগ্রেসকে? ফের রাহুলকে ‘লঞ্চ’ করার চেষ্টা

Karnataka Assembly Election Result: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ই কি কর্ণাটকে জেতাল কংগ্রেসকে? ফের রাহুলকে ‘লঞ্চ’ করার চেষ্টা

রাহুল গান্ধী  (Congress twitter)

এদিন সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে ডিকে শিবকুমার, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায় রাহুলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আশা করি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন।' এদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দেন যে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল।

ভোট গণনা মাত্র শুরুই হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পার হয়েছে। কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের আভাস মিলতে শুরু করেছে। আর তখনই কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র ভিডিয়ো আপলোড করা হয়। টুইট বার্তায় লেখা হয় একটি ইংরেজি গানের লাইন। যার বাংলা তর্জমা, ‘আমি অপরাজেয়। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। হ্যাঁ, আমি আজ অপ্রতিরোধ্য’। কংগ্রেসের তরফে যেন নতুন করে রাহুলকে 'লঞ্চ' করার চেষ্টা করা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পর থেকেই বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পর রাহুলকে 'লঞ্চ' করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকে বিশাল জয়ের পর আবারও নতুন করে রাহুলকে সব কৃতিত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস। 

‘কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার। এবং গোটা দলই যেন রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসাতে কাজ করে।’ এহেন অভিযোগ বিজেপি বহুকাল ধরেই করে আসছেন। গেরুয়া শিবির বারবার দাবি করেছে, কংগ্রেস কোথাও নির্বাচন জিতলেই তার জন্য রাহুল গান্ধীকে শ্রেয় দেওয়া হয়। তবে কংগ্রেস হারলে সেখানে রাহুলের নাম শোনা যায় না। যদিও কংগ্রেসও অভিযোগ করে যে, যেখানেই বিজেপি ভোটে জেতে, তার শ্রেয় দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এই আবহে কংগ্রেসের দাবি, কর্ণাটকে বিজেপির হার আদতে মোদীর হার। উল্লেখ্য, মে মাসেই কর্ণাটকে প্রায় ২০টি জনসভা করেছিলেন মোদী। এদিকে রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে প্রায় পড়ে থেকে প্রচার করেছিলেন। তার আগেও তিনি গতবছর ২১ দিন ধরে ভারত জোড়ো যাত্রায় হেঁটেছিলেন এই রাজ্য দিয়ে। এই আবহে সব কংগ্রেস নেতারই বক্তব্য, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই কংগ্রেসের জয়ীর বীজ বপণ হয়েছিল।

এদিন সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে ডিকে শিবকুমার, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায় রাহুলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। সিদ্দারামাইয়া আজ বলেন, 'আমি আশা করি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন।' এদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল। কর্ণাটকে রাহুল মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রচার করেন দলের হয়ে। কখনও বেঙ্গালুরুতে বাসে চড়েছেন, কখনও তিনি বাইকের পিছনে চেপেছেন। মানুষের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছেন। প্রচুর জনসভা করেছেন। তারও আগে অবশ্য গতবছর তিনি পদযাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। এদিকে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর এটাই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন ছিল কোনও রাজ্যে। এই আবহে এই জয়কে রাহুলের প্রতি মানুষের 'সমর্থন' হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছে শতাব্দী প্রাচীন দল। এদিকে আজকে নির্বাচনে জিতে রাহুল বলেন, ‘কর্ণাটকে হিংসার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে।’

বন্ধ করুন