সোমবার বাগনান থানার বাকসিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভা ছিল। ওই সভা শেষ হওয়ার পরে রাতে কলেজ মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। তারা চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপিএমের উপর অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিকে গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলের বিধায়ক অরুণাভ সেন। তাঁর দেহরক্ষী বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তার উপরেও চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এসবের জেরে এলাকায় ব্য়পক উত্তেজনা ছড়়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হাওড়ার বাগনানের হেতমপুর এলাকার ঘটনা।
গুরুতর জখম হয়েছেন ওই বিধায়কের দেহরক্ষী। রাজকুমার মাঝি নামে ওই দেহরক্ষীর কপালে তিনটি সেলাই পড়েছে বলে খবর। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মাথা ফেটে যায়। তার চোখেও আঘাত লেগেছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ভোট পর্বের মধ্য়ে এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। কিন্তু কেন এভাবে হামলা চালানো হল? কারা রয়েছে এর পেছনে|?
এই ঘটনায় সব মিলিয়ে ১১জন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে তৃণমূল এই অশান্তির দায় পুরো সিপিএমের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, জোট প্রার্থীর সমর্থনে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছিল। সিপিএমের উপরই হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। দেহরক্ষী তৃণমূলের লোকজনের ছোঁড়া ইঁটে আহত হয়েছেন।
এদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই হামলা হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ভোটপর্বের মধ্য়ে এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। কে বা কারা এই ঘটনার পেছনে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। হামলাকারীরা যেভাবে দেহরক্ষীর উপর হামলা চালিয়েছে তার নিন্দা করেছেন অনেকেই।
তবে সিপিএম এই হামলার অভিযোগ মানতে চায়নি। তাদের দাবি, আমাদের উপরই হামলা চালানো হয়েছিল। তৃণমূলের উপর আমাদের কেউ হামলা চালায়নি। এর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় সিপিএমের কেউ। ওদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতেই আহত হয়েছেন দেহরক্ষী। কিন্তু ওরাই ঝামেলা করে সেটা সিপিএমের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।