অনীত থাপা। বর্তমানে জিটিএর চেয়ারম্যান। তবে বরাবরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গুডবুকেই থাকেন। সেই অনীত থাপা দার্জিলিং লোকসভা নিয়ে মমতাকে রিপোর্ট দিয়েছেন বলে খবর। কিন্তু কী আছে সেই রিপোর্টে?
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপার সঙ্গে মমতার বৈঠক হয়। সেখানেই এনিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আবার সোমবার গভীর রাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে পাহাড় ও সমতলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। এরপর মমতার কাছেও আলাদাভাবে এনিয়ে মতামত দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কী সেই মতামত?
সূত্রের খবর তিনি জানিয়েছেন যে দার্জিলিং, কালিম্পং মিলিয়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভালো ফলাফল দেবে। কিন্তু মূল সমস্যাটা হল শিলিগুড়িকে নিয়ে। শিলিগুড়ি শহরের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল।
কিন্তু কেন শিলিগুড়ি নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল? শিলিগুড়ি কর্পোরেশন তো বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। সমতলে প্রচুর পঞ্চায়েত রয়েছে যেখানে বিজেপির লেশমাত্র নেই। কিন্তু তারপরেও কেন দার্জিলিং সমতল নিয়ে এত চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল?
রাজনৈতিক পর্যবক্ষকদের মতে, শিলিগুড়ি বরাবরই বামেদের শক্ত ঘাঁটি। তবে বর্তমানে সিপিএমের প্রাক্তন যুব নেতা শঙ্কর ঘোষ বিজেপির বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর থেকেই শহর শিলিগুড়িতে বামেদের একটা বড় অংশ তলায় তলায় বিজেপি মুখী। তার উপর সমতলে তৃণমূলের অন্দরে প্রচুর দ্বন্দ্ব। তার ফসল ঘরে তুলতে পারে বিজেপি।
তবে অনীত থাপা সরাসরি এই বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, সমতল নিয়ে আশার কথা শোনাতে পারেনি অনীতের দল। এখন থেকে জোরকদমে ব্যবস্থা না নিলে আখেরে এবারও দার্জিলিং আসন দখল করা তৃণমূলের পক্ষে কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা রয়েছে তৃণমূল ও অনীত থাপার দলের অন্দরেও। সেক্ষেত্রে এই স্বল্প সময়ের মধ্য়ে মেরামতি করা কতটা প্রয়োজন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে অনীতের প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল তার সুফল পেতে পারে। কারণ দার্জিলিং পাহাড়ে তৃণমূলের নিজস্ব শক্তি সেভাবে নেই। তবে অনীতের হাত ধরে তৃণমূল পাহাড়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারে। তবে পাহাড়ের লড়াই যে অতটা সহজ হবে না সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ পাহাড়ে এবার বিমল গুরুং বিজেপির পাশে থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু সমতলে কী হবে?