রিয়াল মাদ্রিদ কেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম দল, সেটাই তাঁরা আরও একবার প্রমাণ করে দিল সেমিফাইনালে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। কিন্তু শেষ লগ্নে কোচ কার্লো আনসেলোত্তির মাস্টারক্লাস ম্যাচ রিডিং এবং সঠিক পরিবর্তনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট হাতে পেয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। ২-১ গোলে বায়ার্নকে হারাল রিয়াল। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হতে চলেছে তাঁরা ফাইনালে। বলাই যায়, বায়ার্নকে হারিয়ে দেওয়ায় ফাইনালে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবেন বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেছিলেন জুনিয়ররা। কিন্তু জার্মানির দলটির গোলের তলায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন ম্যানুয়েল ন্যয়ার। বোধহয় প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন গোল খাবেন না। কিন্তু শেষ মূহূর্তে তাঁর একটা ভুলই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল। অবশ্য তাঁদের কোচ থমাশ টুশেলও করলেন বড় ভুল, আওয়ে ম্যাচে গোল পাওয়ার পর রক্ষণাত্মক হতে গিয়েই ফাইনালের টিকিট হাতছাড়া করলেন বায়ার্ন কোচ।
আরও পড়ুন-IPL 2024- সঞ্জুর আউটের পরই উচ্ছাস, বিতর্ক ধামাচাপা দিতে হাত মেলালেন ক্যাপিটালসের মালিক- ভিডিয়ো
ম্যাচের শুরু থেকই মুহূর্মুহূ আক্রমণ করে রিয়াল মাদ্রিদ। জুনিয়র, বেলিংহ্যামরা একের পর এক সুযোগ তৈরি করে হানা দিয়ে যান বায়ার্ন রক্ষণে। কিন্তু গোলদূর্গ অটুট রেখেছিল জার্মান ক্লাব। ১৩ মিনিটেই জুনিয়রের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। ২৮ মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেনের শট অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন লুনিন। ৪০ মিনিটে ক্রুজের ফ্রি কিক অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান ন্যয়ার। স্কোরলাইন অমীমাংসিত রেখেই লেমন ব্রেকে যায় দুই দল।
আরও পড়ুন-Paris Olympics- 4x400 মিটার দৌড়ে অলিম্পিক্সের টিকিট হাতে পেল ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা অ্যাথলিটরা
বিরতির পর ফিরে স্যান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আক্রমণে ঝাঁঝ আরও বাড়ায় রিয়াল। ৫৯ মিনিটে রদ্রিগো এবং ৬০ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট, দুরন্ত সেভ দেন জার্মানির দলটির গোলরক্ষক। ৬৮ মিনিটে অবশ্য ম্যাচ জমিয়ে দেন আলফান্সো ডেভিস। বায়ার্নের হয়ে গোল করে যান কানাডার এই ফুটবলার। একক দক্ষতায় দুরন্ত শটে লুনিনকে পরাস্ত করেন ডেভিস। পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। তড়িঘড়ি মদ্রিচকে নামান আনসেলোত্তি, ৭১ মিনিটে এরপর গোলও করে রিয়াল, কিন্তু নাচো ফাউল করায় তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর রিয়াল কোচ নামান তাঁর তুরুপের তাস হোসেলুকে। এই পরিবর্তনই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। এরই মধ্যে বায়ার্ন কোচ একটু রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে ৮৫ মিনিটে হ্যারি কেন এবং তাঁর কিছুটা আগে লেরয় সানেকে তুলে নেন। তাতেই চাপ আরও বাড়ানোর সুযোগ পায় রিয়াল।
৮৮ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের নির্বিষ শট রিসিভ করতে পারলেন না ন্যয়ার, ফিরতি বলেই গোল করে রিয়ালকে ঘরের মাঠে সমতায় ফেরান সুপার সাব হোসেলু। পিছিয়ে থাকা রিয়াল ঘরের মাঠে ফিরে এলে আর কি থামানো যায়। ৩ মিনিটের মধ্যে ফের গোল। অফসাইড ট্র্যাপ করার চেষ্টা করলেও বায়ার্ন ডিফেন্ডাররা পারলেন না, হোসেলু পা ছুঁইয়ে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে দিলেন।
আরও পড়ুন-১১ বছরের অপেক্ষার অবসান, PSG-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ড
এই নিয়ে ১৮বার ইউরোপিয়ান কাপ বা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনসেলোত্তি নিজেই ফাইনালে উঠলেন ষষ্ঠবার। ২ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নামবে রিয়াল - ডর্টমুন্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।