মালিক ও ক্রেতার ধর্ম আলাদা? সেক্ষেত্রে তিন মাস জমি কেনা যাবে না অসমে। কারণ মালিক ও ক্রেতার ধর্ম আলাদা হলে জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে 'নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট' (এনওসি) দেবে না হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। এনওসি প্রদান প্রক্রিয়ার উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অসমের বিজেপি সরকারের যুক্তি, লোকসভা ভোটের আবহে (নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় বা নির্বাচনের পরে) যাতে রাজ্যে কোনওরকমভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি না হয়, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও ক্ষেত্রে এনওসি একেবারে আবশ্যিক হলে অসমের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন নিয়ে জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে অসম সরকার। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, সেরকম ক্ষেত্রে অবশ্য কোনওভাবেই এনওসি প্রদান করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
অসম সরকারের রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা (রেজিস্ট্রেশন) দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে যে কয়েকটি জায়গায় দুটি ধর্মের ব্যক্তির মধ্যে জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতারণামূলক কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মালিক ও ক্রেতার ধর্ম আলাদা হলে তিন মাস জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে এনওসি প্রদান করা হবে না। অবিলম্বে (৭ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল) সেই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে বলে অসম সরকারের রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা (রেজিস্ট্রেশন) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। নির্দিষ্টভাবে কোনও ধর্মের কথা অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি।
যদি জমি কেনাবেচা অত্যন্ত আবশ্যিক হয়, তাহলে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এনওসি দেওয়া যাবে বলে অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা (রেজিস্ট্রেশন) দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে আগেভাগেই ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়ে এনওসি দেওয়া যাবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হতে পারে, এমন ক্ষেত্রে কোনওভাবেই এনওসি দেওয়া যাবে না।
এমনিতে অসমের নিয়ম অনুযায়ী, জমির মতো স্থাবর জমির নথিভুক্তির ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রারের থেকে এনওসি নিতে হয়। যে রাজ্যে তিনটি দফায় লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে। আগামী ৭ মে অসমের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মিটে যাবে। আর আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হবে।