কোচবিহারের দিনহাটার নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,' প্রধানমন্ত্রী কী বলে গেলেন? ২০২৪ মে চুন চুন করকে সবকো অ্য়ারেস্ট করেগা। জেল মে লে জায়েঙ্গে। চুন চুন করকে প্যাহেলে বিজেপি চোরকো পাকড়াও। ইয়ে দেশ জেলখানা নেহি হ্যায়। আপ জেলখানা বনা দিয়া দেশকো। আপ সন্দেশখালি লে কর খেলতে হ্যায়। একজনকেও মাফ করিনি। এটা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, বিলকিস বানো নয়, এনআরসি, ক্যা নেহি হ্যায়, কত মিথ্যে কথা বলবে। আর কালকে ওনার বড় হোম মিনিস্ট্রি, কুচো কাচা, চোর চোট্টা চিটিংবাজ..আর বড়টা বুনিয়াদপুরকে বলছে বেলুড়ঘাট। বলছে উলটে ঝুলিয়ে রেখে দেব। এটা কি হোম মিনিস্টারের শোভা পায়। এত সোজা গেম নেই। প্রথমে আপনার চেহারা দেখুন। আমি জানি এখানে সংখ্য়ালঘুরা আছেন। ওরা অনেক ভয় দেখাবে। আপনারা কেউ ভয় দেখাবেন না। আমি একটা কথা বলে যাব উদয়নকে, কুল কুল। ও তোমায় গন্ডগোলে জড়িয়ে দিয়ে ও বিএসএফকে দিয়ে ভোটটা করিয়ে নেবে। ভুলেও ভুল করো না।'
সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘প্রশাসনকে বলব, এখানে ১৯ এপ্রিল ভোট। ১৭ তারিখ বিকেল ৫টার পর এখানে যেন একটাও মিছিল–মিটিং না হয়। বাইক বাহিনীকে যদি অ্যালাও করেন, বিএসএফের সঙ্গে যোগসাজশ করেন, তাহলে মনে রাখবেন আমজনতা আপনাকেও একদিন বিতাড়িত করবে। আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। মাথা ঠান্ডা রাখুন। শান্তি বজায় রাখুন। আমি দুঃখিত, প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তাহলে দু’মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না। কে বারণ করেছে। হয় দিল্লি যান, না হলে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না। কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’
আর অমিত শাহকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাংলায় এসেছিলেন বড় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলছেন, উল্টে ঝুলিয়ে রেখে দেবো। আপনারই বলুন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখে কি এই কথা শোভা পায়।' আসলে অমিত শাহ আগে বলেছিলেন, 'সবাইকে উল্টো করে টাঙিয়ে সোজা করে দেওয়া হবে। আপনার চিন্তা করবেন না।' মমতা সেই প্রসঙ্গকেই টেনে আনলেন এদিন।