কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের কুলবধূকে বিজেপি প্রার্থী করা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি তাঁকে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আনন্দময়ী ও সিদ্ধেশ্বরী কালিমন্দিরে গিয়ে পুজো দিতেও দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায়কে। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের কুলবধূ। এই আবহে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে অমৃতা রায়কে প্রার্থী করার জল্পনা আরও জোরালো হল। বুধবার কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে করিমপুরে এক জনসভায় ভাষণ রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সভা থেকে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান শুভেন্দু। তৃণমূল নেত্রীকে 'কুকুর চোর' বলেও কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এরপরই করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরে যান শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সেখানেই রাজবাড়িতে অমৃতা রায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শুভেন্দুর। (আরও পড়ুন: বাংলা থেকে লোকসভা ভোটে কত আসন পাবে BJP? 'বটম-লাইন' দিয়ে সংখ্যা বাতলে দিলেন শাহ)
আরও পড়ুন: ভোট অঙ্ক মেলাতে 'বিদ্রোহী' অনন্ত মহারাজের বাড়িতে নিশীথ, বরফ কি গলল?
রিপোরট অনুযায়ী, কৃষ্ণনগরের বিজেপি কার্যালয়ে অমৃতা রায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। শুভেন্দুর হাত থেকেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন রানিমা। এছাড়াও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৭০ জন তৃণমূলস্তরীয় নেতা গতকাল বিজেপিতে যোগদান করেন বলে দাবি করেছে পদ্ম শিবির। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল। সেই তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এই আবহে মহুয়ার বিরুদ্ধে শুভেন্দু গতকাল তীব্র ভাষয় আক্রমণ শানান। (আরও পড়ুন: ২৪-এ জিতলে 'ক্রোনোলজি' মিলবে? CAA-র পর কি NRC আসবে, মুখ খুললেন শাহ)
আরও পড়ুন: 'তারিখ পে তারিখ', DA মামলার পরের শুনানি কবে? এল আপডেট, মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের
গতকাল মহুয়াকে নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'কৃষ্ণনগরের যিনি আছেন, তিনি তো.... বাপরে বাপ! তিনি তো পাসওয়ার্ড বাইরে পাচার করে দিয়েছেন। কুকুর চোর। কুকুর ফেরত দিতে হয়েছে। ঘুলে ভ্যানিটি ব্যাগ নেন। আমি জীবনে কোনও দিন এমন কথা শুননিনি। দেখেছেন তো, লোকপাল গতকাল কী করেছেন? সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে দিয়েছেন। আগে তিনি করিমপুরের বিধায়ক ছিলেন না? এবার যেন তিনি তাড়াতাড়ি ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেন।'
এদিকে সাংসদপদ খারিজ হলেও কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি পদে আছেন মহুয়া মৈত্র। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণার বহু আগেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবারও কৃষ্ণনগরে প্রার্থী হবেন মহুয়া। আবার কৃষ্ণনগর আসনটি নিয়ে এবার আশাবাদী বিজেপি। তবে এখনও পর্যন্ত তারা এই আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে এবার স্থানীয়দের ভাবাবেগ এবং সিএএ-র জোড়া অস্ত্রে আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে পদ্ম শিবির। এই আবহে কৃষ্ণনগরে খুব সম্ভবত রানিমাকেই প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। গতকাল অমৃতা রায়ের বিজেপি যোগদানে সেই জল্পনা আরও জোরালো হল।