চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচন যখন হবে তখন ‘নজরকাড়া’ কেন্দ্র হবে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। আজ, সোমবার বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। তিনি যখন জেলাশাসকের দফতরে এসে মনোনয়ন জমা দেন তখনই বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহাও মনোনয়ন জমা দেন। দুই প্রার্থীর তাই মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল। একে অন্যকে সঙ্গে সঙ্গে শুভেচ্ছা জানালেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার কুশল বিনিময় করেন প্রতিদ্বন্দ্বী চিকিৎসক প্রার্থীর সঙ্গে। আর দুই প্রার্থীই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। তবে তাঁদের মুখোমুখি দেখা হয়নি।
এদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা ইউসুফ পাঠান বলেন, ‘এত মানুষ আমার পাশে আছে দেখে আজ খুব ভাল লাগছে। জোরদার লড়াই হবে। উন্নয়নের ইস্যুতেই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।’ ব্যান্ড, তাসা–সহ মিছিল করে আজ মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মীরা এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে সামিল হন। ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, ভরতপুরের বিধায়ক, রেজিনগরের বিধায়ক এবং বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাপ–অপকর্ম করেছেন’, এসএসসি মামলার রায়ে বিস্ফোরক কুণাল
অন্যদিকে পাঠানের মনোনয়নে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ছিল প্রশাসনিক ভবনে। বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী নির্মল সাহা প্রবেশ করতেই ভিড় আরও বাড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান বলেন, ‘নির্মল সাহা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমিও তাঁকে প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছি। উনি আমার খেলারও প্রশংসা করেছেন।’ আর বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার বক্তব্য, ‘মানুষ যাঁর পক্ষে রায় দেবেন, তিনি নির্বাচিত হবেন। তা বলে একে অপরকে কলুষিত করার বিষয় নেই। পাঠান আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমিও শুভেচ্ছা জানিয়েছি ওঁকে।’
এই বহরমপুর কেন্দ্রেরই আর এক হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন অধীর চৌধুরী। তিনি পাঁচবার এখান থেকেই জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কেমন লড়াই হবে? এই প্রশ্ন করা হয় ইউসুফ পাঠানকে। আর পাঠানের কথায়, ‘সেটা মানুষই ঠিক করবে। তবে জোরদার লড়াই হবে।’ অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন তিনি হারলে রাজনীতি থেকে ছুটি নিয়ে নেবেন। আর তাই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র আক্ষরিক অর্থেই নজরকাড়া কেন্দ্র। তাই এই কেন্দ্রে এবার বেশ টক্কর হবে যুযুধান প্রতিপক্ষের মধ্যে। সুতরাং আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় নির্বাচন টানটান উত্তেজনার মধ্যে হবে।