লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির ঘরেই ব্যাপক গোলমাল দেখা দিল। তাও আবার প্রার্থীকে ঘিরে। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে ঘিরেই চলল লাগাতার বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল এলাকা। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি কমব্যাট করতে প্রতিবাদে কর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী এলাকায়।
এদিকে লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। জোর প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক–বিরোধী সব পক্ষই। আজ, মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে সাঁকরাইল ব্লকে প্রচার করছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। রোহিণী এলাকা থেকে তিনি প্রচার সেরে কাঠুয়াপোলে এক কর্মীর বাড়িতে আসছিলেন দেখা করার জন্য। আর সেই পথেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। প্রণত টুডুর গাড়ি দেখতে পান তাঁরা। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে যায়। তুমুল চিৎকারে বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। প্রণতের গাড়ির পথ আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন বিজেপি প্রার্থীর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: আয়কর নোটিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল সিপিএম, সীতারাম ইয়েচুরির কড়া চিঠি নির্বাচন কমিশনকে
অন্যদিকে গাড়ি থেকে নেমে আসতেই চলে ধস্তাধস্তি। দু’পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি বচসা শুরু হয়। তখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। একে অপরের মুখোমুখি হয়ে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। তবে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে হাতাহাতির অভিযোগ করেছে। তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রামের বাতাবরণ। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের প্রার্থীকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে। আর তাড়া করেছে তাঁকে। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই রণক্ষেত্রের চেহারা দেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী আসে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমন অবস্থাতেই বিজেপি কর্মীদের নিয়ে প্রার্থী প্রণত টুডু অবস্থানে বসেন। বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু বলেন, ‘আজ এক কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। সেখানে যাওয়ার পথে আমাদের রাস্তা আটকে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী। আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কলার ধরে মারধর করেছে। মহিলা মোর্চার নেতৃত্বকে মারা হয়েছে। আমরা ওই পরিস্থিতির ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। পাথর দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা যাতে খেতে না পারি তার জন্য যে দোকানে ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেটিও গায়ের জোরে বন্ধ করে দেয়।’