লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। গোটা দেশে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করেছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ‘সংগ্রামী ভাতা’ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সংগ্রামী ভাতার আওতায় যে টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দিলেন তিনি। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ভাতা কারা পাবেন? জবাবে শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্য সভা থেকে জানিয়েছেন, জেল খাটা বিজেপি কর্মীদের এই ভাতা দেওয়া হবে। সুতরাং এই প্রতিশ্রুতি সাধারণ মানুষের জন্য নয়।
তবে লোকসভা নির্বাচনের জন্য জারি করা নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি থাকাকালীন এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে কোনও দলই নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠোকেনি। যদিও এই সংগ্রামী ভাতা হিসাবে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা থেকেই এই সংগ্রামী ভাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপির কর্মী যাঁরা জেল খেটেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা করে সংগ্রামী ভাতা দেবে।’
আরও পড়ুন: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল! বিধানসভার অন্দরে গুঞ্জন
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে এখন জোরদার প্রচার করতে নেমেছেন সব দলের নেতারা। একের পর এক নানা কথা তাঁদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যতজনকে জেল খাটিয়েছে, বিজেপি সরকার যেদিন রাজ্যে আসবে, তাঁদের সবাইকে সংগ্রামী ভাতা দেব আমরা। যতজনকে জেল খাটিয়েছে, প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেব।’ পুলিশের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘যে তদন্তকারী অফিসাররা মিথ্য়া রিপোর্ট দিয়ে এদের গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকল। নন্দীগ্রামের আইসি খুব বেড়েছেন। বেশি বাড়বেন না। এটা হুঁশিয়ারি নয়, সতর্কবার্তা। যারা মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে আমাদের কর্মীদের জেল খাটিয়েছে তাদের নাম লেখা আছে।’
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘মাসির যদি গোঁফ থাকত, তাহলে মেসোমশাই হতো। ক্ষমতায় আসবেন না, বলে বসলেন ভাতা দেব। সুতরাং ক্ষমতায় না এলে, দিতেও হবে না। মুখে লাগাম নেই।’ নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের কথায়, ‘ভোটে কাজ করার লোক না পেয়ে যা খুশি তাই বলছেন। আসলে নন্দীগ্রামের বুথে বুথে লোক খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। তাই শুভেন্দু অধিকারী টাকার লোভ দেখিয়ে কিছু কর্মীকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।’