সেবারও ভোটের সময় ছিল তীব্র গরম। ভোটদাতাদের গুড় বাতাসা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৎতকালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বক্তা যেহেতু অনুব্রত, তাই এর ভিন্ন মানে খুঁজেছিল মিডিয়া ও রাজনৈতিকমহল। এবারও লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের কোনও কোনও জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। এই পরিস্থিতি প্রচারও চলছে জোর কদমে। রবিবার পুরুলিয়ার লধুড়রায় ও সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুরে দলীয় প্রার্থী সমর্থনে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তীব্র গরমে সভায় আসা কর্মীদের কষ্ট লাঘব করতে পর্যাপ্ত জলের প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুরুলিয়ায়। পাশাপাশি শশা খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে তীব্র গরমে কর্মীদের সভায় আনতে ছাতা দেবে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল।
জল ও শশা দেবে পুরুলিয়া
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার তিনটি লোকসভা আসন বিজেপির দখলে। তা দখল করা তৃণমূলের কাছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই জমায়েতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না দল। কিন্তু তীব্র গরম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই জল ও শশার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। তীব্র গরমে মানুষের আসতে সমস্যা হবে। তাই আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। সভাস্থলে ছাউনি বড় করা হচ্ছে। যাতে সকলেই ছাউনির তলায় বসতে পারেন। সভায় আসা সবাইকে টুপি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি জানান, দুটি বড় স্টল রাখা হচ্ছে। যেখান থেকে শশা কেটে বিলি করা হবে।
আরও পড়ুন। মমতার প্ররোচনাতেই NIA-এর ওপর হামলা, পুলিশ অফিসারদের শাস্তি চাই: শুভেন্দু অধিকারী
ছাতা দেবে বাঁকুড়া
তীব্র গরমে যাতে সভায় আগত মানুষদের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ছাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকায় ছাতা বিলি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীদের মধ্যে ছাতা বিলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন। একটা চকোলেট বোমা ফেটেছিল, তার তদন্তের নামে হামলা করেছে NIA: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে জন্য সভাস্থলে মাথার উপর বড় ছাউনি থাকবে। তবে কর্মীরা অনেক দূর থেকে হেঁটে আসবেন। চড়া রোদে তাঁদের কষ্ট কমাতে ছাতা বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রার্থী আরও জানিয়েছেন, সভাস্থলে বিভিন্ন জায়গায় জলের গাড়ি রাখা হয়েছে। এছাড়া ফুচকাসহ নানা ফাস্টফুডের স্টল দেওয়া হবে।
পুলিশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
সভাস্থল ও আশপাশের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। জলের পাউচ ছাড়াও ‘ওআরএস’ এবং বেশ কয়েকটি বড় ছাতার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হবে, থাকবে মেডিক্যাল টিমও।
আরও পড়ুন। 'এনআইএর কী অধিকার আছে?' ভূপতিনগরের ঘটনায় হামলাকারীদের পাশেই দাঁড়ালেন মমতা