এবার নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ক্ষেত্রে একপেশে মনোভাব পোষণের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিল বিজেপি। একাধিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলি আঞ্চলিকতা, ধর্ম, বিশ্বাস সহ একাধিক বিষয়কে আক্রমণ করা হচ্ছে। এনিয়ে কমিশনের একাংশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
তাদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা স্টেট ক্যাডারের অফিসার হন। রাজ্য সরকার যে শাসকদলের অধীনে চলে তাদের কাছ থেকে নানা হুমকির মুখোমুখি হতে হয় তাদের। তার জেরে তারা পদক্ষেপ নিতে চান না।
তবে বিজেপির দাবি এই যে বিরাট গণতন্ত্র সেটা নির্বাচনী আধিকারিকদের নিরপেক্ষতার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। এই অফিসাররাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা রক্ষার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্য়ে এই আধিকারিকরা পক্ষপাতিত্ব করছেন। মূলত রাজনৈতিক চাপে তাঁরা নিরপেক্ষ অবস্থান নিচ্ছেন না। চিঠি দিয়ে নালিশ করল বিজেপি।
বিজেপির তরফে নালিশ করে বলা হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে ওই সব রাজ্যে দেখা গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে চোখ বুজে থাকছেন অফিসারদের একাংশ।
বিজেপির তরফে এনিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে কিন্তু তারপরেও তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। খবর এএনআই সূত্রে।
এমনকী এই সংক্ষিপ্ত সময়ে প্রচারের ক্ষেত্রে এভাবে কমিশনের একাংশের একপেশে মনোভাবের জেরে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
এদিকে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তামিলনাড়ুতে অনিতা আর রাধাকৃষ্ণান, মহারাষ্ট্রে সঞ্জয় রাউত ও মুম্বইতে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন একেবারে উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
সামনেই ভোট। তার আগে লাগু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। আর এই বিধি ভঙ্গ করলেও সংশ্লিষ্ট রাজ্য়ের শাসকদলের প্রতি একপেশে মনোভাব দেখাচ্ছে কমিশন। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।