দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এখনও নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে অর্থ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। তাই ভোটের আগে অবৈধ অর্থ লেনদেন বা মদ মাদকের অবৈধ কারবার বন্ধ করতে চায়ছে নির্বাচন কমিশন। এই উদ্দেশ্যে ২০ টি সংস্থাকে দিয়ে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ঠিক সেই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ আধার কার্ড নিস্ক্রিয়! বিকল্প পরিচয়পত্রে ভোট দেওয়া যাবে, জানাল নির্বাচন কমিশন
যে ২০টি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইডি, আয়কর দফতর এবং ডিআরআই। এই সমস্ত সংস্থা অবৈধ অর্থ লেনদেনের উপর নজরদারি রাখবে। এছাড়াও রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্র জিএসটি ও শুল্ক, ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি, সিআইএসএফ, ডাকবিভাগ, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এসএসবি, বিএসএফ, উপকূল রক্ষা বাহিনী, রেল, আরপিএফ। এছাড়াও রাজ্য পুলিশ, রাজ্য জিএসটি, রাজ্য পরিবহণ দফতর, বনদফতর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, প্রতিটি ভোটের আগেই অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন ঠেকাতে তৎপর হয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। এর আগের লোকসভা নির্বাচনগুলিতেও এভাবে নজরদারি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। যেহেতু সামনে লোকসভা নির্বাচন, তাই ভোটের আগে এই সমস্ত অবৈধ কারবারের উৎস বন্ধ করতে চায়ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, বেআইনি কারবারের কিংপিনদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে কোনওভাবে যে হিংসা এবং অর্থের প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না সে বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেই সঙ্গে ভোটারকে ভোট প্রয়োগ করতে যাতে কোনওভাবেই বাধা না দেওয়া হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছেন। এই নির্দেশের কোনও এদিক-ওদিক হলে সে ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন দায়ী থাকবে এবং সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলেও নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।