পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বলে কিছু নেই। এবার লড়াই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে। সোমবার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে সমর্থন করেছেন, তার পুলিশ NIAএর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করবে, এতটা আশা করা ঠিক নয়।
শুভেন্দুর অভিযোগ
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল বলে কিছু নেই। পুলিশ হচ্ছে মূল প্রতিপক্ষ। প্রায় ১৫০০০ অভিযোগে ১০৭ ধারা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩০০০এর বেশি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে এই ধারা’।
শনিবার NIAএর ওপর হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওদের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা ছিল। গতকাল রাজ্যের এক হাফ মন্ত্রী গিয়ে ওদের সংবর্ধনা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শাহজাহানে ঢুকিয়ে দিয়ে এলাকা ফাঁকা করে RSS – বিজেপি এলাকা দখল করতে চাইছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাহজাহানকে সাপোর্ট দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইভ হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। একই ভাবে যারা তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে NIAএর ওপর হামলা করেছে তাদের ধরার প্রশ্নই নেই মমতা পুলিশের। কারণ তারা তৃণমূল করে। গুন্ডা - ধর্ষক – লুঠেরা - খুনি হতে পারে, হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা আছে বলে সাত খুন মাফ’।
শুভেন্দুর দাবি
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘আমাদের দাবি, শনিবারের ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে করানোর জন্য NIA দাবি জানাক। দরকারে তারা আদালতে যাক। যে ভাবে ইডি গিয়েছিল। আর পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলেছে, মধ্যরাত্রে NIA গেছে, আমরা জানতাম না। ওনার মনোনীত SP সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য প্রেসের সামনে বলেছেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল। পুলিশ মন্ত্রী আর তার SPর কথায় দুধ আর জল আলাদা হয়ে গেল’।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে NIA. মনোব্রত জানা নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় নাড়ুয়াবিলা গ্রামে হামলা হয় NIAএর গাড়ির ওপরে। হামলায় গাড়ির কাচ ভাঙে। আহত হন এক NIA আধিকারিক। ওই ঘটনায় পালটা NIAকে দায়ী করেন মমতা। এর পর NIA আধিকারিক ও CRPF জওয়ানদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে FIR দায়ের করে রাজ্য পুলিশ।