একুশের নির্বাচনে বিরাট সাফল্য পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন জননেত্রী তিনিই। তাই মনে রাগ না রেখে দলবদলুদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন, কেউ ফিরে আসতে চাইলে আসুক। কিন্তু এই দলবদলুরাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে উৎসাহ বাড়িয়েছিল বিরোধী শিবিরকে। কেউ কেউ তৃণমূল কংগ্রেস দলটায় শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রয়ে যাবেন বলেও প্রচার করেছিলেন। কিন্তু ২ মে নির্বাচনের ফল তাদের সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে। এইসব দলবদলুদের বিরুদ্ধে সরব হলেন হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়।
দলের কঠিন সময়ে যাঁরা পাশে থাকেননি। ফায়দা নিতে অন্য দলে গিয়েছিলেন তাঁদের আর তৃণমূল কংগ্রেসে যাতে নেওয়া না হয় তার জন্য সওয়াল করেছেন তিনি। আর তাতেই দলবদলুরা কি করবেন এখন বুঝতে পারছেন না। এদিন দলের এক অনুষ্ঠানে অরূপ রায়ের নিশানায় ছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ হেভিওয়েট দলবদলু নেতারা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হল একটা যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যদি কোনও সৈনিক বা সেনাপতি দল ছেড়ে চলে যায় তাহলে তাকে গদ্দার বলা হয়। সেই গদ্দারদের যেন আর দলে জায়গা না দেওয়া হয়।’
জানা গিয়েছে, অনেকেই এখন যোগাযোগ করছেন ফিরে আসার জন্য। কারণ আর বিজেপিতে থেকে কোনও লাভ হবে না। সেটা বুঝতে পেরেছেন দলবদলু নেতারা। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের হাওড়ার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অরূপবাবু বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কিছু নেতা–কর্মী টাকার লোভে দল ছেড়েছেন। দলের সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে ওইসব কর্মীদের আর কোনও জায়গা নেই। আমি ওইসব গদ্দারদের দলে যেন আর ফিরিয়ে নেওয়া হয় তার জন্য দলের হাইকমান্ডের কাছে অনুরোধ করব।’ আসলে তিনি চান না আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নেওয়া হোক। কারণ দলে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হাওড়া সদরের নির্বাচিত ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অরূপ রায় জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে সব ধরনের বিজয় উৎসব বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি ভাল হলে তখন পরিকল্পনা করা যাবে। দলীয় বিধায়ক এবং কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে তারা যেন সাধারণ মানুষ ও রোগীদের পাশে থাকেন। সবরকম সহযোগিতা করেন।