আর এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে এই বার্তাই দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, শিয়রে নির্বাচন। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। এবার একধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ সাত-আটদিনের মধ্যে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই হাতে আর আমাদের বেশি সময় নেই।’
বাংলার ২৯৪টি আসনের বিধানসভা নির্বাচন মার্চ–এপ্রিলের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। এপ্রিলের মধ্যেই রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এসে তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তবে সাধারণত মে'র তৃতীয় সপ্তাহেই ভোট-পর্ব মেটে। সেই মতো বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমোও দলীয় কর্মীদের কাজে নেমে পড়তে নির্দেশ দেন। বকেয়া কাজ অবিলম্বে শেষ করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সরকার বহু প্রকল্প ও কাজ ঘোষণা করেছে। যা নির্বাচনের পরে করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি রেখেছি। অল্প যেটুকু বাকি আছে, তা নির্বাচনের পরে করে দেওয়া হবে। তাই হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।’
এদিকে বুথের হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এবার ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ২২,৮৮৭টি বুথ বাড়তে চলেছে রাজ্যে। ফলে মোট বুথের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০১,৭৯০টি। এছাড়াও বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের কথা ভেবে এবার ২,৯৫০টি চিহ্নিত বুথ উপরতলা থেকে নিচে নামিয়ে আনা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত বুথ নিচ তলায় থাকবে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, এই বুথ প্রস্তুতির কাজ কতদূর এগিয়েছে, বুধবার জেলাশাসকদের কাছ থেকে তার খতিয়ান নিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অতিরিক্ত বুথ প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকদের জমা দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খোলার কথা চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। কোভিড আবহে যেহেতু একাধিক স্কুলকে ‘সেফ হোম’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তাই দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি স্যানিটাইজেশনের কাজও করা হয়েছে। আপাতত সেগুলিকে বুথ হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোটারদের জন্য শৌচাগার, র্যাম্প–সহ যে ব্যবস্থাগুলি থাকার কথা সে বিষয়ে জেলাশাসকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।