বিজেপি–র রথের দড়িতে টান পড়ার আগেই রথের চাকা না গড়াতে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি নদিয়া থেকে বিজেপি–র ‘পরিবর্তন রথযাত্রা’–র সূচনা করার কথা বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার। আর আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে রথের দড়ি টানবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাই পরিকল্পনা বিজেপি–র। কিন্তু সেই রথযাত্রা রুখতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন জনৈক আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, রাজ্যজুড়ে বিজেপি–র এই রথযাত্রায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। বাড়তে পারে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, করোনা সংক্রমণ আরও বাড়াতে পারে এ ধরণের জনসংযোগ কর্মসূচি। কারণ, বিপুল পরিমাণ লোক এতে অংশ নেবেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার।
এদিকে, গত সোমবার নবান্নের কাছে রথযাত্রার অনুমতি চেয়েছে বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাসখানেকের মধ্যে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় পাঁচটি রথ ঘোরার পর ব্রিগেডে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি–র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, ‘দুটি রথযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি তিনটি রথযাত্রা নিয়ে আরও আলোচনা চলছে।’ কিন্তু তার আগেই রথযাত্রার রথ রুখতে আদালতে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা।
এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যে রথযাত্রা বের করতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সে বার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত মামলা গড়ায়। এবারও এমনই হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান। এদিকে, শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে চলেছে। আর তা হওয়ার পর রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রথযাত্রার অনুমতি কি আদৌ মিলবে? রয়ে যাচ্ছে এই প্রশ্ন।