ধূপগুড়ি জলঢাকা সেতুর কাছে পাথরবোঝাই লড়ির সঙ্গে টাটা ম্যাজিক ও মারুতি ভ্যানের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে পাথর বোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। মঙ্গলবার রাতে পাথরবোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। আর সেই ওভারলোডেড ডাম্পারের নিচে চাপা পড়ে যাত্রীবোঝাই দু’টি ছোট গাড়ি। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ১৫ জন। এবার এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এখানেই শেষ নয়, মৃতের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকার্যে নামে পুলিশ, দমকলবাহিনী। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। চাপা পড়ে থাকে গাড়ি দু’টিতে মোট কতজন যাত্রী রয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তায় প্রায়ই শয়ে–শয়ে ‘ওভার–লোডড’ বালি, পাথরবোঝাই ডাম্পার চলাচল করে। আগেও বেশ কয়েকটি ওভারলোডেড ডাম্পার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়, জলপাইগুড়ির এসডিও এবং পুলিশ সুপার। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব নিজে দুর্ঘটনায় জখমদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখেন। কথা বলেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। বৌভাত থেকে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে টুইট করে টাকা দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তাতে অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন।