রবিবাসরীয় সকালে নন্দীগ্রাম দিবস পালনকে কেন্দ্র করে সোনাচূড়ার শহিদ মিনারের সামনে উত্তেজনা দেখা দিল। শুভেন্দু অধিকারীর পৌঁছনোর আগে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ দেখায়। ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সদস্য ও সমর্থকরা সেখানে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দিতে সেখানে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় তৃণমূলপন্থী ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সদস্যরা। আবার দলীয় স্লোগান তোলেন বিজেপি সমর্থকরা। শুভেন্দু বিরোধী স্লোগান তোলেন কমিটির তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। এদিন ব্রাত্য বসুকে গো–ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের পক্ষ থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পূর্ব মেদিনীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় উপস্থিত রয়েছে। দফায় দফায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। তারাই বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
গোকুলনগরে নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে বিজেপির সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘নন্দীগ্রামে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে।’ ২৪ মার্চ কাঁথিতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসলে ভোটের বাকি আর দু’সপ্তাহ। তার আগে নন্দীগ্রাম দিবসে, অতীতের আবেগে শান দিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি দু’পক্ষই। গোকুলনগরে যে শহিদ বেদিতে ব্রাত্য ও পূর্ণেন্দু বসুরা মালা দিয়েছিলেন, সেখানে গিয়েই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই পূর্ব মেদিনীপুর থানার জেলাশাসকের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রাখতে। এরপর সাংবাদিকদের ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আজকের দিনটা ঐতিহাসিক দিন, রাজনৈতিক দিন, উত্তেজনা কাম্য নয়। শুভেন্দু অধিকারী সেদিনের আন্দোলনে ছিলেন তিনি শোক পালন করতেই পারেন কিন্তু বিজেপি তো কোনওদিনই এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিল না। তারা এখন জোর করে সামিল হতে চাইছে। যা খুবই আশ্চর্যজনক।’ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ‘নন্দীগ্রামের মা’ ফিরোজা বিবি।