কয়লা দুর্নীতি নিয়ে যখন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে তখন এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নাকের ডগায় এত বড় কেলেঙ্কারি হল কী করে? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন ব্রাত্য বসু। এমনকী তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্ত চলাকালীন অডিও রেকর্ড ফাঁসের প্রতিবাদে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, ‘সমস্ত কয়লা খনি ও সম্পত্তি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। আর তার নিরাপত্তায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদি বিজেপি ভাবে এখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা অবৈধভাবে ব্যবহার করে টাকা পায়, তাহলে কেন্দ্র চুপ করে বসে না থেকে তদন্ত করে মূল অপরাধীদের ধরুক যারা জাতীয় সম্পত্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।’
রবিবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই মামলায় ৯০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। সেই সাংবাদিক বৈঠকে প্রেক্ষিতে এবার পালটা ফৌজদারি মামলা করার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের টুইট সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। ভোট তৃতীয়ার আগে যা তাৎপর্যপূর্ণও বটে। কারণ এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিজেপি যার স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভাইরাল করেছিল তিনিই আবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন। সব সংস্থা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি সবরকম তদন্তকে। সেটা যেন নিরপেক্ষ হয়। কয়লা কাণ্ডে সবার প্রথমে কয়লামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’