নির্বাচনী তরজা, অভিযোগ, অশান্তির মধ্যে প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। যে ঢাক–ঢোল পিটিয়ে নির্বাচন কমিশন ভোট করার কথা বলেছিল তা বাস্তবে দেখা গেল না। আবার ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও অশান্তির ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠল নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের অধিকাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং অকেজো ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বহু ইভিএম খারাপ হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কী বলা যাবে ম্যাচের সেরা নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠী?
সঠিক পর্যবেক্ষণের জন্য দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামের মতো বেশ কিছু কেন্দ্রে বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নেটওয়ার্ক সমস্যার পাশাপাশি বহু বুথে ক্যামেরা ঘুরিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে ভোট পর্যবেক্ষণে সমস্যায় পড়ে কমিশন। প্রায় দু’হাজার বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ে ক্যামেরায় সমস্যা দেখা দেয় বলেও অভিযোগ। জটিল আবর্তে পড়ে বাধ্য হয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার, সুদীপ জৈন।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মোট ৩৫৫টি বুথ। যার মধ্যে ৭৫% ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। তবে সারাদিন অধিকাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়। নেটওয়ার্ক সমস্যা তো ছিলই তার সঙ্গে বহু বুথে ক্যামেরা ঘুরিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ মিলেছে। যার ফলে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামের নির্বাচন সরাসরি পর্যবেক্ষণে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে কমিশনকে। দ্বিতীয় দফার চার জেলায় কমবেশি ২০০০টি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলে খবর। তাই উপ–নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের সিইওর কাছে।