শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু হয়েছিল প্রথম দিন থেকেই। সেই লড়াইকে বৃহস্পতিবার নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেল বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ শানালেন দলের ২ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও অমিত মালব্য। তাঁদের দাবি, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত মালব্য দাবি করেন, আত্মরক্ষার স্বার্থেই সেদিন গুলি চালিয়েছিল CISF. তাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে গিয়ে ধর্মীয় বিভাজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মীয় বিভাজন এক ভয়াবহ প্রবণতা। তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের সংখ্যাগুরু মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে পারেন না মমতা।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ ভোটারকে গুলি করে মেরেছে বলে দাবি করছে তৃণমূল। আপনারা গত কাল থেকে ঘটনার যে ছবি টিভিতে দেখেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে লাঠি-সোটা নিয়ে বুথ দখল করতে যাচ্ছে কিছু মানুষ। বাংলার ভোটাররা কি এভাবে ভোট দিতে যান? ঘটনার ২ দিন আগে কোচবিহারে গিয়ে এসবের প্ররোচনা দিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।’
গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ চলাকালে গ্রামবাসীরা হামলা করলে পালটা গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মৃত্যু হয় ৪ জন স্থানীয় যুবকের।