হিন্দি ছবির ইতিহাসে স্রেফ 'জাদু' নামটুকুই যথেষ্ট। ১৮ বছর আগে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হওয়ার পর চলে গেলেও আজও তার স্মৃতি সেই সময়ের মতোই টাটকা। ২০০৩ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল 'কোই মিল গয়া' ছবিটি। হৃত্বিক রোশান এবং প্রীতি জিন্টার পাশাপাশি ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র 'জাদু' সবথেকে বেশি নজর করেছিল দর্শকদের। মনও ছুঁয়েছিল।
বক্স অফিসে 'কোই মিল গয়া' শুধু ঝড়ই তোলেনি বরং তৎকালীন সময়ে ভারতীয় ছবির ইতিহাসে সর্বাধিক আয় করার ছবির তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে উঠে এসেছিল। দর্শক তো বটেই সমালোচকের দলও অকুন্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিল হৃত্বিক-প্রীতি অভিনীত এই ছবিকে। তাছাড়া আরও একটি কারণে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছিল এই ছবি। 'কোই মিল গয়া'-র আগে পর্যন্ত অন্য কোনও হিন্দি ছবিতে এলিয়েন অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের দেখানো হয়নি। সম্প্রতি,১৮ বছর পূর্ণ করল সেই ছবি।
'কোই মিল গয়া'-র 'সাবালক' হয়ে ওঠার খবর ঘোষণার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এই সিনেমার থেকে বেশ কিছু দৃশ্যের ছবিও পোস্ট করলেন 'রোহিত' ওরফে হৃত্বিক। যার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে 'জাদু'। প্রসঙ্গত, এই ছবি যে হৃত্বিকের ডুবন্ত কেরিয়ার বাঁচানোর পাশাপাশি একলাফে বলিউডে তাঁর হারানো রাজ্যপাট ফিরিয়ে দিয়েছিল সেকথা আজ অজানা নেই আর কারও। রাতারাতি ফের লাইমলাইটে চলে আসার পাশাপাশি আসমুদ্রহিমাচল ভারতের হিন্দি ছবি দেখা প্রায় প্রতিটি শিশুর প্রিয় তারকা হয়ে উঠেছিলেন হৃত্বিক। তাই এই ছবির উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানানোর সঙ্গে তিনি ভোলেননি তাঁর 'জাদু'-কে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকেও। 'জাদু'-র উদ্দেশে 'রোহিত' লিখেছেন, 'যে রোহিতকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবনটা সুখ ও জাদুতে ভরে দিয়েছিল। ধরেছিল রোহিতের হাত এবং তাঁর সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর করেছিল নিমিষে। বিশ্বাস করতে শিখিয়েছিল 'অলৌকিক' ঘটনায়।আজ তার জন্যেই এই পোস্ট।
এখানেই না থেমে 'জাদুর বন্ধু' আরও বলেন যে 'জাদু' যখন রোহিতের জীবনে এসেছিল তখন তার মাত্র ৩ বছর বয়স। মাঝখানে কেটে গেছে ১৮টা বছর। 'মাঝে মাঝে ভাবি, এত বছর পর আজকে তাঁকে কেমন দেখতে হবে! কী মনে হয় আপনাদের ? শুভ জন্মদিন জাদু!’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই 'কোই মিল গয়া' সিরিজের চার নম্বর ছবির কথা ঘোষণা করেছেন হৃত্বিক। এই ছবিতে যে ফের একবার 'জাদু'-কে দেখা যাবে সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট পাওয়া গেছে তাঁর তরফেই। এবার কি তবে সেই ইঙ্গিতই আরও একবার উস্কে দিলেন হৃত্বিক?