সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে রীতিমতো সরগরম টিনসেল টাউন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই। প্রথম থেকেই মুম্বই পুলিশের তদন্তে ফাউল প্লের চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু এবার উল্টো অভিযোগে গুঞ্জন বেড়েছে বি টাউনের অলি গলিতে।
জানা গিয়েছে মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে বদনাম করতে ১৪ ই জুন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ৮০,০০০ এরও বেশি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার সাইবার সেলকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন|
ইতালি, জাপান, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, রোমানিয়া এবং ফ্রান্সের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট গুলি করা হয়েছিল। এক প্রবীণ আইপিএস কর্মকর্তার বক্তব্য অনুসারে ,'আমরা # জাস্টিস ফর সুশান্ত # সুশান্ত সিং রাজপুত এবং #এসএসআরের মতো হ্যাশট্যাগগুলির মাধ্যমে বিদেশী ভাষায় পোস্টগুলিকে শনাক্ত করেছিলাম। আপাতত আরও অ্যাকাউন্ট যাচাই করার কাজ চলছে।'
'মুম্বই পুলিশকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্য এই পোস্ট গুলি থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্ট। যে মুম্বই পুলিশ সারা দেশে প্যানডেমিকের আবহেও প্রাণ বাজি রেখে কাজ করে গিয়েছে , করোনার প্রকোপে বলি প্রদত্ত হয়েছেন ৮৪ জন পুলিশ কর্মী, আক্রান্ত প্রায় ৬০০০ জন , সেই পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এই পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। আমাদের সাইবার সেল তদন্ত শুরু করেছে,দোষীদের বিরুদ্ধে আইটি আইন অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে', জানালেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং।
সম্প্রতি সামনে এসেছে এইমস এর চিকিৎসক প্যানেলের রিপোর্ট যেখানে অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে খুনের তত্ত্ব মান্যতা দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে পরমবীর জানান মুম্বই পুলিশ যথেষ্ট দক্ষতার সাথে তদন্ত করেছিল তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। 'সিবিআই এর তৈরী এইমস এর চিকিৎসকদের প্যানেল এবং কুপার হাসপাতালের রিপোর্ট ফরেনসিক রিপোর্টও আমাদের তদন্তকেই মান্যতা দিয়েছে। আমাদের তদন্তের গোপনীয়তা বরাবরই বজায় ছিল, যদিও বহু মানুষ তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন',জানান তিনি।