দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। গায়ক কেকে-র অকাল মৃত্যুর যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারছে না তাঁর গুণমুগ্ধ অনুরাগীরা। রূপঙ্কর বিতর্ক যেন এই মৃত্যুযন্ত্রণাকে খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে কেকে-র বাঙালি ভক্তদের জন্য। মঞ্চের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। কলেজেরদিনে শুধু গান গেয়ে নয়, নেচেও মঞ্চ মাত করেছেন দিল্লির এই ভূমিপুত্র।
কেকে-র মৃত্যুর পর ভাইরাল গায়কের কলেজেরদিনের একটি ছবি। সেখানে ব্লু ডেনিম, সাদা শার্ট এবং ঘন নীল হাফ হাতা সোয়েটারে স্টেজে নাচতে দেখা গেল কেকে-কে। সেই ছবিতে কেকে-র পাশেই রয়েছেন আজকের দিনের নামজাদা বলিউড পরিচালক কবীর খান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মল কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছিলেন কেকে এবং কবীর খান। সেই সময় থেকেই ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ পরিচালকের সঙ্গে তাঁর নিবিড় বন্ধুত্বতা। দুই বন্ধুর এই ছবি দেখে চোখের কোণ ভিজছে ফ্যানেদের। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন পরিচালক কবীর খানের পত্নী মিনি মাথুর।
ছবির একদম ডানদিকে রোদচশমা পরে থাকা রোগা ছেলেটাই কেকে। তাঁর পাশে নাচের স্টেপ ম্যাচ করতে মগ্ন কবীর খান। কেকে-কে শেষশ্রদ্ধা জানাতে গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছিলেন বন্ধু কবীর খান।
কবীর খানের প্রত্যেক ছবিতেই থেকেছে কেকে-র সুপারহিট গান। ৮৩-র ‘ইয়ে হোওসলে' হোক বা নিউ ইয়র্ক-এর ‘হ্যায় জুনুন’ কিংবা ‘বজরঙ্গি ভাইজান'-এর 'তু যো মিলা'।
গত মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে পারফর্ম করবার পর হোটেলে ফিরে সংজ্ঞাহারান কেকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সিএমআরআই-হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরদিন এসএসকেএম-এ ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। বুধবার রবীন্দ্র সদনে কেকে-কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফকে, ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় প্রয়াত শিল্পীকে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি এবং পুত্র নকুল। পরদিন মুম্বইয়ে ভারসোভা শ্মশানে তাঁর অন্ত্য়েষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।