দাদা আমির খানের সঙ্গে পুরোনো বিবাদের ক্ষত এখনও তাজা ছোট ভাই ফয়জলের। বহু বছর আগে আমিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছিলেন তিনি। বলি-তারকার বিরুদ্ধে এনেছিলেন গুরুতর অভিযোগ। সেসবের পর অবশ্য বহু জল গড়িয়ে গেছে গঙ্গা-যমুনা দিয়ে। আমিরকে ক্ষমা করে দিলেও পুরোনো কথা আজও ভোলেননি তাঁর ভাই। জমে আছে এখনও অভিমান। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে অকপটে ফয়জল জানান, আমিরকে ক্ষমা করে দিলেও তিনি যা করেছেন, তা কখনওই ভুলতে পারবেন না তিনি।
আমির এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফয়জলের অভিযোগ ছিল ওঁরা তাঁকে জোর করে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল স্ক্রিৎজোফেনিয়া রোগে আক্রান্ত ফয়জল। আরও দাবি ছিল, এর সঙ্গে মানসিকভাবেও চরম অবসাদগ্রস্থ আমিরের 'মেলা' ছবির সহ-অভিনেতা। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে গেছিলেন ফয়জল। শুরু হয়েছিল আইনি লড়াই। ফয়জল জানিয়েছিলেন, জেজে হাসপাতালে ২০দিন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা চলার পর তাঁকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক বলে ঘোষণা করে আদালত।
গোটা বিষয়টি প্রসঙ্গে ফয়জলের দাবি ছিল এমন কিছু বিষয় ছিল যাতে ফয়জলের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল কিন্তু তাতে আমির নাকি নিজে স্বাক্ষর করার অধিকার চেয়েছিলেন। 'আমিরের ধারণা ছিল আমি পাগল, নিজের যত্ন নিতে অপারগ তাই ওঁর সেই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম। নইলে হয়ত আজও আমাকে গৃহবন্দি করি রাখা হতো'।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফয়জল জানিয়েছেন নিজের পরিবারের ভালো চাইলেও তাঁদের থেকে নিজেকে খানিকটা দূরত্ব আজও বজায় রেখেছেন তিনি। এমনকি একসঙ্গেও থাকেন না তাঁরা। একই কম্পাউন্ডে আমির থাকলেও তাঁদের অ্যাপার্টমেন্ট আলাদা।অবশ্য, বর্তমানে যে ফ্ল্যাটটিতে ফয়জল থাকেন সেটিও যে আমিরের, সেকথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ বছর পর ‘ফ্যাক্টরি’ নামে একটি ছবির মাধ্যমে ফের বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন হবে তাঁর।