গত বছর মুক্তি পায় আমির খান এবং করিনা কাপুর খান অভিনীত লাল সিং চাড্ডা। কিন্তু বক্স অফিসে বিন্দুমাত্র চলেনি এই ছবি। একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ফিল্ম সমালোচকরা তো বটেই দর্শকদের পর্যন্ত ভালো লাগেনি এই ছবি। সম্প্রতি এই ছবির প্রসঙ্গে একটি বড় তথ্য জানালেন অভিনেতা।
আমির খানের তুতো ভাই হলেন পরিচালক মনসুর খান। তিনি জানিয়েছেন এসএস রাজামৌলি নাকি আমির খানকে এই ছবি দেখার পর বলেছিলেন যে এখানে আমির নাকি রীতিমত ওভার অ্যাক্টিং করেছেন।
মনসুর কিন্তু আগেই তাঁর ভাইকে জানিয়েছিলেন যে তিনি অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত এই ছবিতে ওভারঅ্যাক্টিং করেছেন। কিন্তু সেই একই কথা যখন বাহুবলী এবং RRR খ্যাত পরিচালক এসএস রাজামৌলি বললেন তখন সেই কথা সকলেই স্বীকার করে নেন। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য আমি খান এই ছবিটি কিন্তু আদতে ফরেস্ট গাম্প ছবির অফিসিয়াল রিমেক।
আমিরের সঙ্গে হওয়া একটি কথোপকথনের কথা মনে করে মনসুর পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমিরের সেন্স অব হিউমার দুর্দান্ত। একদিন ও আমায় মজা করে বলে তুমি তো খুব চুপচাপ, সোবর ছেলে তাই তুমি যখন বলেছিলে যে লাল সিং চাড্ডা ছবিতে আমি ওভারঅ্যাক্টিং করেছি তখন আমি অতটা কিছু বুঝিনি। ভেবেছি তোমার হয়তো তেমনটা মনে হয়েছে। কিন্তু যখন সেই এক কথা এসএস রাজামৌলি বললেন তখন আমি বুঝি যে আমি তাহলে সত্যি এই ছবিতে ওভারঅ্যাক্টিং করেছি নইলে সেটা রাজামৌলির মনে হতো না।'
মনসুর অর্থাৎ যাঁর কায়ামত সে কায়ামত তক ছবির হাত ধরেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন আমির সে ব্যক্তি জানান তাঁর এবং আমিরের সম্পর্ক ভীষণই খোলামেলা। এবং তিনি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক আগেই ফিডব্যাক দিয়ে দেন ভাইয়ের ছবি নিয়ে।
তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ' আমার স্ক্রিপ্ট ভালো লেগেছিল এই ছবির, আমার মনে হয় লেখক অতুল কুলকার্নি দুর্দান্ত কাজ করেছেন, কিন্তু আমির চরিত্রের তুলনায় একটু বেশিই ওভারঅ্যাক্টিং করে ফেলেছে। মানে আমি বলতে চাইছি যে ওর চরিত্রটা ডাইলেক্সিয়া বা এই ধরনের কোনও রোগে তো আর ভুগছে না, সে কেবল বাকিদের থেকে আলাদা। কিন্তু এখানে অনেকটাই বাড়াবাড়ি করে দেখানো হয়েছে।'
আরও পড়ুন: 'হৃতিক-রণবীর রাজি হননি, আমির বলেছিল...' 'ভাগ মিলখা ভাগ'-এর ১০ বছর পর অজানা কথা ফাঁস পরিচালকের
মনসুর তাঁর বক্তব্যে জানান তাঁর টম হ্যাঙ্কসের আসল ছবিটা ভীষণ ভালো লেগেছিল কারণ সেখানে তিনি কম কম এক্সপ্রেশন দিয়েও গোটা চরিত্রটাকে দুর্দান্ত করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। তাঁর কথায়, 'আমি এই বিষয়টা ওকে বলেছিলাম।' কিন্তু অভিনেতা দাদার কথা না মানলেও রাজামৌলি যখন সেটা বললেন তখন তিনি সেটা মানলেন।
এই ছবিটা যখন মুক্তি পায় তখন এটি একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে যায়। এমনকি অদ্বৈত চন্দনের এই ছবিটাকে ঘিরে বয়কটের ডাক উঠেছিল।