হিন্দি ধারাবাহিকের ইতিহাসে কাল্ট ' তকমা পেয়েছিল ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’। ২০০০ থেকে ২০০৮, টানা আট বছর ধরে চলা এই ধারাবাহিকে বুঁদ হয়ে থাকত ভারতের বিরাট অংশের দর্শক। ২১ বছর আগে ছোটপর্দায় একই চ্যানেলে একই দিনে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক এবং 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'। সম্প্রতি, এই ধারাবাহিক নিয়ে মুখ খুললেন শো-এর অন্যতম মুখ্যাভিনেতা অমর উপাধ্যায়। ধারাবাহিকে ' মিহির ভিরানি'-র চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি দর্শকদের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তাতেও ছুঁয়ে ফেলেছিলেন বলিউড তারকাদের।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমর জানালেন যে এখনও সেই ধারাবাহিকের তাঁরা অনেকেই একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্ৰুপে রয়েছেন। কথায় কথায় আরও বললেন যদি কখনও এই ধারাবাহিকের সিক্যুয়েল নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা হয় তাহলে মুশকিল বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’-র মুখচরিত্র 'তুলসী' হিসেবে অভিনয় করেছিলেন স্মৃতি ইরানি যিনি বর্তমানে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ' কিউকি সাস ভি কভি বহু থি' যে কতটা জনপ্রিয় হয়েছিল সেকথা বলতে গিয়ে এক অজানা কিসসা পেশ করেন 'মিহির'।
অভিনেতার কথায়, 'একইদিনে ছোটপর্দায় যাত্রা শুরু হয়েছিল কেবিসি এবং এই ধারাবাহিকের। অমিতাভ বচ্চনের প্রথম টিভি শো হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই ওই শো ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। প্রথম দিনেই চড়চড় করে বেড়ে গেছিল টিআরপি। যেখানে 'কেবিসি'-র টিআরপি ছিল ৭ এর কাছাকছি সেখানে ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’-র টিআরপি রেটিং ১ পর্যন্ত ছিল না। তারও নিচে ছিল। প্রচন্ড দমে গেছিলাম আমরা এই ফলাফলে। ভেবেছিলাম কোনওদিনই ওই শো-এর টিআরপি ছুঁতে পারব না। বরং ভবিষ্যতে হয়ত আমাদের হাল ফিরলেও একটু ফিরতে পারে'।
'মিহির'-এর কথাতেই আরও ফাঁস হয় যে প্রতি সপ্তাহে তাঁদের গোটা টিম ধারাবাহিকের প্রযোজক একটা কাপুরের অফিসে হানা দিত টিআরপি রেটিং জানতে। ধীরে ধীরে রেটিং বদলাতে লাগল এবং তা ক্রমশ ভালোর দিকে এগোতে লাগল। বেশ অনেকটা সময় পর দেখা গেল টিআরপি-র রেটিংয়ের ভিত্তিতে কেবিসি তখনও রয়েছে পয়লা নম্বরে কিন্তু 'কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি' এক লাফে চলে এসেছে দ্বিতীয় নম্বরে। তবে চমক তখনও বাকি ছিল। অভিনেতার কথায়, 'কেবিসি-র ঘাড়ে একপ্রকার প্রায় নিঃস্বাস ফেলতে শুরু করেছিল আমাদের ধারাবাহিক। এরপর এই শো-তে আমার অভিনীত চরিত্র অর্থাৎ 'মিহির'-এর মৃত্যুর সিকোয়েন্স পরপরই সবাইকে ছাপিয়ে গেছিল এই শো। অন্য উচ্চতায় উঠে গেছিল ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’। বলাই বাহুল্য, শেষপর্যন্ত টিআরপি রেটিংয়ে অমিতাভের 'কেবিসি'-কে টপকে পয়লা নম্বর শো-এর আসনে বসে পড়েছিল তুলসী-মিহিরের এই ধারাবাহিক'।