Rupanjana-Ratool: ছেলে কোলে বিয়ে করেছেন, রাতুল-রূপাঞ্জনার আইনি বিয়ের দিনও ক্যামেরা হাতে রিয়ান

রূপাঞ্জনা লিখেছেন, ‘আপনার সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই যে আমাদের নতুন জীবন।’ হ্য়াজ ট্যাগে দিয়েছেন #সদ্য বিবাহিত। সবশেষে রূপাঞ্জনা লিখেছেন, ‘ছবিটি তুলেছে আমাদের একমাত্র চ্যাম্প।’ চ্য়াম্র বলতে এখনে যে রূপাঞ্জনা নিজের ছেলে রিয়ানের কথা বলেছেন, সেকথা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।

সদ্য নতুন জীবনে পা রেখেছেন। ১৯ এপ্রিল সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। সোমবার আইনি বিয়েটাও সেরে ফেললেন তাঁরা। আর এই সুখবর সকলের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন রূপাঞ্জনা নিজেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরের সঙ্গে রং-মিলান্তি পোশাক পরে ছবি দিয়েছেন রূপাঞ্জনা মিত্র। এদিন নববধূর পরনে ছিল লাল ট্রাডিশনাল শাড়ি, সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র,আর সোনার হার। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রূপাঞ্জনার বর রাতুলের পরনে ছিল একই প্রিন্টের লাল কুর্তা আর কালো প্যান্ট। বিয়ের পর সেই অর্থে এটাই নব-দম্পতির প্রথম ছবি বলা যেতে পারে। 

ছবি দুটি পোস্ট করে রূপাঞ্জনা লিখেছেন, ‘আপনার সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই যে আমাদের নতুন জীবন।’ হ্য়াজ ট্যাগে দিয়েছেন #সদ্য বিবাহিত। সবশেষে রূপাঞ্জনা লিখেছেন, ‘ছবিটি তুলেছে আমাদের একমাত্র চ্যাম্প।’ চ্য়াম্প বলতে এখানে যে রূপাঞ্জনা নিজের ছেলে রিয়ানের কথা বলেছেন, সেকথা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। জানা যাচ্ছে, এইদিনই তারকা দম্পতির আইনি বিয়ে সম্পন্ন নয়।

প্রসঙ্গত বয়সে রাতুল মুখোপাধ্যায় রূপাঞ্জনার থেকে প্রায় ৬ বছরের ছোট। তবে বয়স কখনই তাঁদের সম্পর্কে কাঁটা হয়নি। দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর ১৯ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। 

প্রসঙ্গত ১৭ বছর আগে ভালোবেসে রেজাউল হককে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র, সেটা ছিল ২০০৭ সাল। যদিও ভিনধর্মে সেই বিয়ে ছিল পরিবারের অমতেই। সেই দাম্পত্য সুখেরও হয়নি। ২০১৭ সালে দুজনের আইনি বিচ্ছেদ হয়। এরপর একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন রূপাঞ্জনা। তাঁর কথায়, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকেই আমি একা’। এরপর দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর শেষপর্যন্ত ৬ বছরের ছোট প্রেমিকের গলাতেই মালা দিলেন রূপাঞ্জনা।

রাতুলের সঙ্গে তাঁর ছেলে রিয়ানের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এর আগে রূপাঞ্জনা বলেছিলেন, তিনি ছেলেকে বিষয়টা বুঝিয়েছেন। ছেলে বলেছিলেন, তাঁর জীবনে নতুন বন্ধু এলে…। পরে সেই বন্ধুর সঙ্গে রিয়ানের আলাপ করিয়ে দেন অভিনেত্রী। এরপর রাতুল-রিয়ানের মধ্যে আলাদা বন্ধুত্ব তৈরি হয়। অভিনেত্রীর কথায়, রিয়ান কখনও পড়াশোনার কোনও বিষয় ভয় পেলে রাতুল দেখিয়ে দিত। রিয়ান এখন আমাকেই ভয় পায়। রূপাঞ্জনার কথায়, ‘রাতুলের কাছেই ওর যত আবদার। ও রাতুলকে চ্যাম্পস বলে ডাকে। আমার বাড়িতে পুজোর পরিবেশ আছে, বুধবার গণেশজির পুজো হয়, মঙ্গলবার হনুমানজির। বিয়েটাও আসলে পুজো। রাতুল আমাদের সঙ্গে থাকবে বলে রিয়ানও খুশি।’