দেখতে দেখতে দেড়টা বছর কেটে গিয়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রয়াণের। এত কম বয়সে, এত উজ্জ্বল এক প্রতিভার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি অভিনেত্রীর ভক্তরা। বাড়ির হাল তো আরও খারাপ। বাবা-মা আর দিদির নয়নের মণি ছিলেন ঐন্দ্রিলা। খুব ছোট বয়সে ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল শরীরে। লম্বা লড়াই করে একবার হারিয়েওছিলেন এই মারণ রোগকে। কিন্তু ফিরে ফিরে এসে ক্যানসারই না ফেরার দেশে নিয়ে যায় ঐন্দ্রিলাকে।
৫ ফেব্রুয়ারি ঐন্দ্রিলার জন্মবার্ষিকী। জন্মদিনে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা এল দিদি ঐশ্বর্যর কাছ থেকে। বোনু-র একটি ছবি শেয়ার করে ঐন্দ্রিলা লিখলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বিউটিফুল। মেনি হ্যাপি রিটার্নস অফ দ্য ডে। দিদিভাই তোকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে’। ক্যাপশনে একটি লাল হার্টের ইমোজিও শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: পুনমের ‘ডেথ-স্টান্ট’-কে সমর্থন শিলাজিতের! নেটপাড়া বলল, ‘আপনি মরে গেছেন শুনলে…’
ঐশ্বর্য পেশায় ডাক্তার। তবে আজকাল সামাজিক মাধ্যমেও প্রচুর ভিডিয়ো, রিলস শেয়ার করেন তিনি। আলাদা ফ্যানবেসও আছে সেই ভিডিয়োগুলোর। এক নেট-নাগরিক কমেন্টে লিখলেন, ‘এক ঝলক দেখে ভাবলাম ও ফিরে এসেছে। যেখানেই থাকো ভালো থেকো।’ অপরজনের মন্তব্য, ‘হ্যাপি বার্থ ডে ঐন্দ্রিলা! যেখানে থাকো ভালো থেকো! আর কোনও মা-বাবার কোল যেন খালি না হয়’।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর মাসে প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা। ‘ইউয়িং সারকোমা’-র রোগী ছিলেন তিনি। এই টাইপের ক্যানসার সহজে পিছু ছাড়ে না। চিকিৎসকদের ধারণা ক্যানসার ফিরে এসেছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। ব্রেন স্ট্রোকের পর কোমায় চলে যান।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেলেন শঙ্কর মহাদেবন ও জাকির হুসেন! বিশ্বমঞ্চে জয়জয়কার ভারতের
২০১৫ সালের জন্মদিনের দিনই ঐন্দ্রিলা জানতে পেরেছিলেন ক্যানসার সম্পর্কে। বয়স তখন সবেমাত্র ১৭। সেই সময় ক্যানসারকে হারিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে নিজের ছোটবেলার স্বপ্নও পূরণ করেন। কাজ শুরু করেন জিয়ন কাঠি ধারাবাহিকে। সেইসময়ই আলাপ প্রেমিক সব্যসাচীর সঙ্গে। জিয়ন কাঠি-তে কাজ করতে করতেই দ্বিতীয়বার ফিরে আসে ক্যানসার। সেবার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পরও নিজের অসুস্থতা নিয়েও এই ধারাবাহিকের শ্যুটিং করেছিলেন ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা। সেবার প্রায় সাত সেন্টিমিটার লম্বা একটি ছোট্ট টিউমার তৈরি হয়েছে তাঁর বাঁ দিকের ফুসফুসে।
আরও পড়ুন: হারালেন একে-অপরের চোখে! বিজ্ঞাপনের শ্যুটে রোম্যান্টিক সৌরভ-ডোনা, ছবি ভাইরাল
আধখানা ফুসফুস বাদ যায়। অভিনেত্রী সেরেও ওঠেন। পাশে শক্ত করে আগলে হাত ধরে রাখতেন এই সময়ে সব্যসাচীও। সেরেও ওঠেন ২০২১ সাল নাগাদ। হারিয়ে দেন ক্যানসারকে। তবে শেষ রক্ষা হল না। স্মৃতিকে সঙ্গে রেখেই এখন সময় কাটছে অভিনেত্রীর মা-বাবা, দিদির। একই হাল সব্যসাচীরও। কাজে ফিরলেও, ভালোবাসার মানুষ না থাকার যন্ত্রণা যেন সবসময় থাকে চোখেমুখে।