বলিউডের মর্ডান ডে 'ভারত কুমার' বলা হয় তাঁকে । শুধু পর্দায় নয় বাস্তবে জীবনেও অক্ষয় কুমারের দেশভক্তিমূলক কাজকর্ম সবসময়ই দৃষ্টি আকর্ষন করে দেশবাসীর । কিন্তু নিন্দুকরা একথা বলতে ছাড়েন না অক্ষয় তো ভারতীয় নাগরিকই নন! তিনি কানাডিয়ান, তাই দেশভক্তির বুলি তাঁর মুখে বেমানান। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে গোটা ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অক্ষয় কুমার । এদিন অক্ষয় প্রকাশ্যে জানালেন কেন তাঁর কাছে কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে ? পাশাপাশি অভিনেতা একথা জানাতেও ভুললেন না, ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।
গুড নিউজ কো-স্টার করিনা কাপুর খানকে নিয়ে শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে যোগ দেন অক্ষয় কুমার ।
পাসপোর্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে এদিন অক্ষয় জানান, 'একসময় আমার একটানা ১৪ ছবি ফ্লপ হয়েছিল, ভেবেছিলাম বলিউডে আমার কেরিয়ার শেষ। তখনই আমার এক কাছের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করি । ও কানাডায় ব্যবসা করত । ওর কথা শুনেই ওখানে ব্যবসা করার জন্য উদ্যোগী হই এবং ব্যবসার কাজেই পাসপোর্ট বানাই। সৌভাগ্যবশত আমার ১৫ নম্বর ছবিটা বক্স অফিস হিট হয় । তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাই নি '।
তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হয়, ট্রোল করা হয় খারাপ লাগে না ? অভিনেতার অকপট জবাব 'মন ভেঙে যায়, খারাপ লাগে এটা ভেবে যে আমি কতটা ভারতীয় সেটার প্রমাণ দেবে একটা কাগজের টুকরো ? আমি এই দেশে থাকি, এই দেশে কাজ, এই দেশে আয়কর দিই। আমি আরও একটা কথা বলতে চাই আমি ইতিমধ্যেই ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানিয়েছি, শীঘ্রই পেয়ে যাবো । আর আমি কানাডিয় হলেও আমার স্ত্রী, পুত্র কিন্তু ভারতীয় । তাদের নাগরিকত্ব পাল্টানোর কোন চেষ্টাই আমি করি নি' ।
লোকসভা নির্বাচনের সময় টুইঙ্কেল ভোট দিলেও অক্ষয় ভোট দেন নি। এরপরই অক্ষয় নাগরিকত্ব বির্তক নতুন করে মাথাচাড়া দেয় । সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হলে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর টুইটারে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হন ‘বেবি’ তারকা। টুইট করে সাফাই দিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার ।
তবে প্রথমবার মিডিয়ার সামনে এই নিয়ে মন্তব্য করলেন অক্ষয় কুমার ।