গদর ২ ছবিটি অগস্টের মাঝামাঝি মুক্তি পায় এবং নস্টালজিয়ায় ভর করে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে। টপকে যায় ৫০০ কোটির গণ্ডিও। এই ছবিতে মূলত তারা সিং এবং তার পরিবারের গল্প দেখানো হয়েছে। ছবিটির প্রথম ভাগ গদর এক প্রেম কথা মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। সেই থেকেই তারা সিং এবং সাকিনার জুটি হিট। গদর ২ যেন সেই নস্টালজিয়াকে আবারও উসকে দিল। তবে জানেন কি সাকিনার চরিত্রের জন্য অন্য কাউকে পছন্দ ছিল পরিচালকের।
গদর প্রসঙ্গে
গদর এক প্রেম কথা এবং তার সিক্যুয়েল গদর ২ ছবিতে তারা সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন সানি দেওল। তাঁর বিপরীতে সাকিনার চরিত্রে ছিলেন আমিশা প্যাটেল। তবে জানেন কি আমিশা কিন্তু মোটেই পরিচালক অনিল শর্মার প্রথম পছন্দ ছিলেন না এই চরিত্রের জন্য।
কী জানিয়েছেন অনিল শর্মা?
গদর ২ খ্যাত পরিচালক সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানান ২০০১ সালে যখন তিনি সদ্য গদর এক প্রেম কথা লিখে ওঠেন তখন তাঁর মাথায় সাকিনার চরিত্রের জন্য একাধিক অভিনেত্রীর নাম ঘুরঘুর করছিল। তিনি এই চরিত্রের জন্য ঐশ্বর্য রাই, কাজলের কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু তিনি জানান তিনি যখন এই অভিনেত্রীদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান তাঁরা হয় নাকচ করেছিলেন নইলে বিশাল পরিমাণের একটা টাকা দাবি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সানির কাছে হারলেন শাহরুখ! দেশে 'পাঠান'কে হারিয়ে Gadar 2 এখন সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবি
আরও পড়ুন: বিশেষ মানুষের থেকে আসছে ‘ইন্দিরা’র উপহার, পুজোর পরিকল্পনা কী তিয়াসার?
বলিউড ঠিকানাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা যখন ছবিটা করছি তখন একাধিক অভিনেত্রীর নাম আমার মাথায় ছিল। ঐশ্বর্য, কাজল, ছাড়াও আরও অনেকেই ছিল। আমি ওদের স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাই, কয়েকজনের পছন্দও হয়। কেউ কেউ আবার রাজি হননি। কিন্তু তাঁরা কেন রাজি হননি এটা আমি জানি না। সেই সময় সুইজারল্যান্ডের কোনও দৃশ্য না থাকা মানেই পুরনো দিনের ছবি। ৯০ দশকের সেই ছবিকে মনে করা হতো ৭০ দশকের ছবি, আর এখনকার ছবিকে ৯০ দশকের মনে করা হয়।'
এছাড়াও এই বক্তব্যে অনিল শর্মা জানান, 'এক অভিনেত্রী রাজি হলেও অনেক টাকা চাইছিল। তখন জি আমায় বলে হয় সেই অভিনেত্রীকে নিতে হইলে ওমরিশ পুরিকে নিতে। আমার ছবির জন্য ওমরিশ পুরিকে লাগতই, তাই আমি বললাম অভিনেত্রীর জন্য আমি নতুন মুখ খুঁজে নেব।'