সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানিয়ে এখন কেরিয়ার গড়ছে বহু মানুষ। এর মধ্যে কেউ যেমন করছে ফুড বা ট্রাভেল ভ্লগিং তো কেউ আবার বেছে নিয়েছেন রোস্টিংকেই পেশা হিসেবে। আর এই রোস্ট করতে গিয়েই বাঁধছে যত কেলেঙ্কারি। এর আগে জেফার আর অ্যামিউজিং রি জড়িয়েছিলেন আইনি লড়াইয়ে। তার আগে বং গাই আর সিনেমাবাপের লড়াই জমেছিল ইউটিউবের ময়দানে। আর এবার লাগল ঝামেলা নন্দিনী আর অ্যান্টি ভাইয়ের।
গত বছর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন নন্দিনী। ডালাহৌসিতে পাইস হোটেল চালান মা-বাবার সঙ্গে। তবে আশেপাশের দোকানের তুলনায় তাঁর হাতের ভাত খেতে একটু বেশিই আসেন মানুষ। তা সে রূপের টানে না রান্নার গুণে বলা মুশকিল যদিও! সঙ্গে লেগে থাকে ইউটিউবারদের ভিড়। এহেন নন্দিনীর যেমন ফ্যান ফলোইং প্রচুর, তেমন ট্রোলারের সংখ্যাও কিছু কম নয়। অনলাইনে তাঁকে নিয়ে ট্রোল তো করেনই নেট-নাগরিকরা। সঙ্গে নন্দিনীকে নিয়ে রোস্ট করেছেন প্রচুর ইউটিউবার। যেই তালিকায় আছেন ইউটিউবের দুনিয়ায় আরেক নাম ‘অ্যান্টি ভাই’।
নন্দিনীও ছাড়ার পাত্রী নন, অ্যান্টি ভাই তাঁকে রোস্ট করতেই দিলেন খোঁচা। মনে করিয়ে দিলেন, কিছুদিন আগে কীভাবে জেফার (আরেক ইউটিউবার) তাঁর নামে যখন পুলিশের কাছে এফআইআর করেছিল, তখন হাত জোর করে ক্ষমা চেয়েছিলেন অ্যান্টি ভাই (জেফারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাতেই হয়েছিল পুলিশি অভিযোগ)। সেই পুরনো কথা মনে করিয়ে নন্দিনী বলেন, ‘অ্যান্টি ভাই আমার নামে যা খুশি বলুক। ওকে আমার দোকানে এনে হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়াব না।’
যার জবাবে পালটা ভিডিয়ো বানিয়ে ফেললেন এই ইউটিউবার। যেখানে নন্দিনীর বলা ‘আগে খেতাম সপ্তাহে একদিন মটন ভাত, এখন সপ্তাহে চার দিন মটন ভাত খেতে পাচ্ছি’ তুলে বললেন ‘অহংকারী’। সঙ্গে নন্দিনীকে ‘দোগলা’ বলেও কটাক্ষ করেন অ্যান্টি ভাই। বলেন, ‘কী নাটকটাই না তুমি করতে পারো। তোমাকেই মহানায়ক উপাধিটা দেওয়া উচিত ছিল।’
সঙ্গে নন্দিনীর কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো, যেখানে তিনি দোকানের এক কর্মচারীকে নোংরা ভাষায় গালমন্দ করেন, সেটা নিয়েও করেন কটাক্ষ। রোস্টিং পেশাকে ‘ছোট করা নিয়ে’ও মুখ খোলেন অ্যান্টি ভাই। সঙ্গে অ্যান্টি ভাই ভিডিয়োর শেষে নন্দিনীর নাম রাখলেন ‘রাণু মণ্ডল লাইট’।
কমেন্ট সেকশনে দেখা গেল অনেকেই সমর্থন করেছে এই অ্যান্টি ভাইকেই। তাঁদের দাবি, নন্দিনী কাউকেই পাত্তা দেন না। আজকাল সবাইকেই সমালোচনা আর নিন্দে করেন। তাই এসব কথায় বেশি কান না দেওয়াই ভালো।