বহরমপুরের আইসি বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর অভিযোগের পরই আইসিকে উদয়শঙ্কর ঘোষকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে ফের এর পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দিল কমিশন। তবে কী কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তার ব্যাখ্যা করেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাঁর জায়গা অন্য পুলিশকর্মীর নাম পাঠাতে রাজ্যেকে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রাপ্ত ‘মেমো’র ভিত্তিতেই বহরমপুরের আইসি-কে সরানো হল বলে রাজ্যকে চিঠি বলা হয়েছে। আইসি অন্যত্র বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি কমিশন।
আরও পড়ুন। ‘বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলের ধৈর্য প্রশংসনীয়’, কাঁথির টাউন হলের বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য
অধীরের অভিযোগ ছিল, প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ। কংগ্রেস নেতা নিলয়ের প্রামাণণিক দাবি, সালারে প্রচার করার নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া থাকলেও তৃণমূল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কংগ্রেসের বক্তব্য, পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে না পেরে গাড়ি থেকে ভাষণ দেন অধীর। কান্দিতে সভা করার অনুমতি দেয়নি বলে পুলিশের অভিযোগ। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই কমিশন তাঁকে সরিয়ে দেয়। ১৩ মে বহরমপুরে ভোট। তার আগে আইসির বিরুদ্ধে কমিশনের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন। ‘দ্রুত অনুসন্ধান বন্ধ করুন’, শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গে তদন্ত নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের
আর পড়ুন। রাজ্যে কমছে ভোটের হার, যে দুটি কারণকে নিজেদের ‘সাফল্য’ হিসাবে দেখছে কমিশন
এর আগে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি শ্রী মুকেশকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ভোটের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কোনও পদে আইপিএস শ্রী মুকেশকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে তারা। মুর্শিদাবাদের ডিআইজির বিরুদ্ধে বার বার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী।
ভোট ঘোষণার পর থেকে একাধিক পুলিশ আধিকারিক সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীপ কুমারকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী সৌম রায়কেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন। ‘বর্ধমান থানার আইসিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্যান্ট খুলে জুতোপেটা করব’, হুঁশিয়ারি দিলীপের