কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অলোক সান্যালের অনস্ক্রিন কন্যেও রক্ষা পেলেন না! মঙ্গলবার হাওড়ার ডোমজুড়ের রাস্তায় আক্রান্ত টেলি অভিনেত্রী অনুমিতা দত্ত ও তাঁর পরিবার। মা-বাবা'কে সঙ্গে নিয়ে দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন নায়িকা, পথে একটি দোকানের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে শুরু হয় ঝামলো। জল এতদূর গড়ায় যে নায়িকার গায়ে হাত তোলা হয়, তাঁর মাকে চুলের মুঠি ধরে মারা হয়। অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পর আপতত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সাথী সিরিয়ালের নায়িকা।
ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অসহযোগিতা করে পুলিশ, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফের থানায় গেলে জেনারেল ডায়রি নেওয়া হয়, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ নায়িকার। সল্টলেকের বাসিন্দা অনুমিতা। বাধ্য হয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন অভিনেত্রী। সোমবার এই মামলার শুনানি হবে।
অভিযোগ, স্থানীয় দোকানদার অভিনেত্রীকে তাঁর দোকানের সামনে গাড়ি রাখতে নিষেধ করে। অনুমিতার কথায়, ‘আমার মা-বাবা দাঁড়িয়ে মোগলাই কিনছিল। দোকানদার বলল, একটু দূরে পার্ক করুন। এরপর অন্য একজন দোকানদার খুব অসভ্য টোনে জানালেন গাড়ি পার্ক করা যাবে না। আমি বললাম পাঁচ মিনিটে চলে যাব। ওরা কোনও কথা শুনলেন না। আমি বললাম এইভাবে অসভ্যের মতো কথা বলবেন না’। তিনি আরও বলেন, ‘মা বলছিলেন এটা তো নো পার্কিং এলাকা নয়। আর ভিড় ও নেই। হাজার-হাজার খদ্দের নেই। কোট আন কোট বলছি আমার মাকেও গালিগালাজ করল। বলল তুই একটা … (লেখার অযোগ্য শব্দ)। তারপর গাড়িতে মারল'।
এরপর নায়িকার মায়ের সঙ্গে ওই যুবকদের কথা কাটাকাটি শুরু হলে পরিস্থিতি সামালাতে এগিয়ে যান অভিনেত্রী। এরপর রীতিমতো হাতাহাতি। অনুমিতার অভিযোগ, বাক-বিতণ্ডা চলছে অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন লোক এসে হামলা চালায়। অভিনেত্রীর মা-কে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলে। চোট লাগে অনুমিতার হাতে, কালসিটে যুক্ত হাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন জখম অভিনেত্রী।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় হতবাক অনুমিতা। ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে বুধবার নায়িকা লেখেন, ‘ওই দুষ্কৃতীরা আজ নিজেদের দোকানও খুলেছে। তাদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তারা অবাধে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে’। ওদিকে অভিযুক্ত দোকানদার অভি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ওই ভদ্রমহিলা হুমকির সুরে বলেন আমি গাড়ি সরাব না, যা করবি করে নে। আমার দোকানের সামনে গাড়ি রেখে আমাকেই হুমকি! ওঁনাদের যা মুখের ভাষা তাতে ওঁনাকে ভদ্রমহিলা বলা যাবে না….রীতিমতো মারধর করতে উদ্যোগী হয়’।
মামলা দায়ের কথা জানিয়ে পুলিশকে তদন্ত করার কথা জানানোয় খুশি অনুমিতা। সুবিচারের আশায় আপতত হাইকোর্টের দিকেই তাকিয়ে তিনি।