তিনি অরিজিৎ সিং। নামই কাফি হ্য়ায়। দেশের গণ্ডি পার করে বিদেশেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় শো করে বেড়ান অরিজিৎ। ৬ এপ্রিল শনিবার ব্যাংককে রয়েছে অরিজিতের শো। এদিন সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্য়াংককের ইমপ্যাক্ট এরিনায় রয়েছে অরিজিতের অনুষ্ঠান।
এদিকে শোয়ের আগে ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছতেই অরিজিৎকে দেখতে পৌঁছে যান বহু অনুরাগী। ব্যাংকক বিমানবন্দরে অরিজিৎ, তাঁর স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে নামতেই তাঁদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এদিন অরিজিতের পরনে ছিল সাদা ক্যাজুয়াল শর্ট কুর্তা আর সবুজ রঙের সাদা স্ট্রাইপ প্যান্ট। আর কোয়েল সিং পরেছিলেন অফ হোয়াইট রঙের শার্ট আর পাজামা। হাতে বই, খোলা চুল আর চোখে কালো ফ্রেমের চশমা।
এদিন বিমানবন্দরে খুদে সই শিকারিদের পাল্লায় পড়েন অরিজিৎ। সেখানে বসেই ধৈর্য্য সহকারে অটোগ্রাফ দিতে দেখা যায় গায়ককে। কেউ কেউ আবার সেই মুহূর্তটি লেন্সবন্দি করছিলেন। কোয়েল সিং-এর ফ্যানপেজে উঠে এসেছে সেই ছবি। এদিন বিমানবন্দরে নামতেই সবসময়ের মতো স্ত্রী কোয়েলকে আগলে হাঁটতে দেখা অরিজিতকে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফেম 'গুরুকুল' শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন অরিজিৎ। ‘ফেম গুরুকুল’-এ বিজেতা হতে পারেননি, তবু তাঁর কণ্ঠ মন করেছিল বহু সঙ্গীতপ্রেমীদের। ২০১১ সালে মুুক্তি পাওয়া 'মার্ডার-২' ছবিতে প্রীতমের সঙ্গীতপরিচালনায় 'ফির মহব্বত করনে চলা' গানের মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নেন অরিজিৎ। এরপর ২০১৩ সালে আশিকি ২ছবির আইকনিক ট্র্যাক 'তুম হি হো'-এর মাধ্যমে নিজের কেরিয়ার আকাশচুম্বী সাফল্য পান অরিজিৎ। এই সাফল্য রাতারাতি তাঁকে স্টারডম এনে দেয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গায়ককে। একের পর এক বলিউডের ছবি, বাংলা ছবি সহ বিভিন্ন ভাষার ছবিতে গান গেয়ে চলেছেন অরিজিৎ।
তবে এত খ্যাতি, জনপ্রিয়তার পরও অরিজিৎ মুম্বই নয়, থাকেন নিজের হোমটাউন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। সেখানে দুই ছেলে, স্ত্রীকে নিয়ে সংসার তাঁর। রয়েছেন তাঁর বাবাও।
২০২৩ সালে একটি যুগান্তকারী কৃতিত্ব তৈরি করেছেন অরিজিৎ সিং। তিনি প্রথম ইংরাজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষার গায়ক হিসাবে স্পটিফাইতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী তৈরি করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। বিশ্বব্যাপী এই প্ল্যাটফর্মে তৃতীয় সর্বাধিক অনুসরণকারী শিল্পী হিসাবে নিজের অবস্থানকে মজবুত করেছেন। এড শিরান এবং আরিয়ানা গ্র্যান্ডের মতো শিল্পীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন অরিজিৎ।