অনুষ্ঠান স্থল দাদাগিরি-১০-এর মঞ্চ। আর সেখানেই হাজির ডেকার্স লেনের অরুণ দা। কলকাতার স্ট্রিট ফুডের স্বর্গ ডেকার্স লেনে রয়েছে তাঁর পাইস হোটেল, নাম ‘জয় মা তারা’। সেই দোকানেরই খাবারের ডালি নিয়ে সৌরভের 'দাদাগিরি'তে হাজির হয়েছেন অরুণ দা। তবে তাঁর দোকানের খিচুরির দাম শুনে এবার সত্যিই 'জয় মা তারা' বলে বসেছিলেন সৌরভ। তবে তারপরই আসল সত্যি ফাঁস হল।
'জয় মা তারা' পাইস হোটেলের খাবারের ডালি দেখে মজা করে অপর প্রতিযোগী বললেন, 'অরুণদা তুমি তো এই দোকানের কর্তা, আমাকে দয়া করে দিও একটু ভর্তা', অরুণ দা তখন বললেন, ‘সবকিছু একটু একটু করে দি।’ তখন আর সেই প্রতিযোগী আর ধৈর্য ধরতে পারছিলেন না, বলে উঠলেন, ‘ওয়েট করবে না, খাবার জিনিস নিয়ে দেরি করতে নেই’। প্রতিযোগী প্রশ্ন করলেন, খিচুরি যেন কত টাকা দাম? উত্তর এল '৫০ হাজার টাকা'। আর সেটা শুনেই আঁতকে উঠলেন খাবারের জন্য অপেক্ষা করে থাকা ওই প্রতিযোগী। সৌরভ বললেন, 'এক প্লেটের দাম এত'!' জিগ্গেস করলেন, ‘বেগুন সুন্দরীর দাম কত?’ উত্তর এল ২০ হাজার টাকা। শুনে সৌরভ বললেন, ‘এক প্লেট বেগুনের দাম তো লোকের ১ মাসের মাইনে। সত্যিই জয় মা তারার নামে দোকান আরকি!’ অপর প্রতিযোগীকে খাবারের রিভিউ করতেও বলেন সৌরভ।
প্রতিযোগী অরুণদার খিচুরির মজাদার স্টাইলে ছন্দ মিলিয়ে রিভিউ করলেন। বলেন ‘অরুণদা তোমার নেই কোনও জুড়ি, তোমার সবকিছুর মধ্যে বেস্ট হল খিচুড়ি।’
আরও পড়ুন-খুশিতে আত্মহারা! ‘চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে…’ গানে নাচলেন নতুন বউ শ্রীময়ী
আরও পড়ুন-বিরল দৃশ্য! বলিউডের তিন খানকে মিলিয়ে দিলেন 'আম্বানি'রা, গলা জড়িয়ে নাচলেন শাহরুখ-সলমন-আমির
এদিকে অরুণদার নিজের দোকানের মেনুকার্ড মুখস্থ। সৌরভ কী পাওয়া যায় আপনার দোকানে? প্রশ্ন করতেই এক নিঃশ্বাসে অরুণদা বলে চললেন, ‘জল রুটি, তেল রুটি, ঘি রুটি, বাটার রুটি, বাটান নান, মিক্স ভেজেটেবিল, ডাল মাখানি, নবরত্ন কারি, ডাল ফ্রাই, আলু ফ্রাই, আলু ৬৫… আরেকটা স্পেশ্যাল আইটেম আছে বেগুন সুন্দরী, ফুলকপি গন্ধরাজ’। অরুণদা আরও জানান, আলু ৬৫-এর দাম নাকি ৩০ হাজার টাকা। পরে বিষয়টা সৌরভ খোলসা করে বলেন, ‘আসলে উনি মজা করে ওভাবে বিক্রি করেন। নানের দাম ৬ হাজার, আসলে দাম ৬ টাকা। খিচুড়ির দাম ৫০ হাজার মানে ৫০ টাকা।’ এদিন অরুণদা বিক্রির মজাদার কায়দায় মুগ্ধ হয়ে যান 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
অরুণদা জানান, তিনি নিজেই এত সব রান্না করেন। একসঙ্গে এত রান্না অরুণদা নিজের হাতে করেন শুনে হতবাক সৌরভ। অবাক হওয়ার আরও বাকি ছিল। কারণ, এরপরই অরুণদা বলেন, তিনি প্রতিদিন ৭-৮শ লোকের রান্না করেন। অরুণদা জানান, তাঁর কাজে সাহায্য করে তাঁর পরিবার, অর্থাৎ স্ত্রী। অরুণদা বলেন, ‘আমি ভোর ৪টেয় উঠি। প্রথম কাজ হল মায়ের ফুল আনতে যাওয়া। রান্না করার আগে মায়ের পুজো করি। তারপর রান্নাতে বসি।’