বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, সিঁদুরদান হয়ে গিয়েছে। শ্রীময়ীর সিঁথিতে তখন ভরা সিঁদুর, গায়ে গয়না, পরনে বেনারসি, এক্কেবারে নববধূ লুক। বিয়ের পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' ছবির গানে জমিয়ে নাচলেন নববধূ শ্রীময়ী। তাঁর সঙ্গী ছিলেন পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।
ব্যাকগ্রাউন্ডে জোরে জোরে বাজছিল 'চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে/ নতুন করে আবার বিয়ের সানাই বেজেছে…'। হ্যাঁ, ঠিকই তাই নতুন করেই আবার সানাই বেজেছে কাঞ্চনের। আর ফুল এনার্জি নিয়ে তখন নেচে চলেছিলেন নতুন বউ শ্রীময়ী। সকাল থেকে নানান রীতিনীতি, বিয়ের অনুষ্ঠানের পরও বিন্দুমাত্র ক্লান্ত মনে হল না তাঁকে। শ্রীময়ী চট্টরাজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ট্যাগ করে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ক্য়াপশানে লেখা ‘Happiest Bride’। ভিডিয়োর নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-‘মালাবদল হবে এরাতে…’, সোহাগে, হলুদে মাখামাখি কাঞ্চন-শ্রীময়ী
আরও পড়ুন-প্রথা মেনে নন্দীমুখ, দধিমঙ্গলের অনুষ্ঠানে লালপাড় সাদা শাড়িতে শ্রীময়ী, পাঞ্জাবিতে কাঞ্চন
আরও পড়ুন-শ্রীময়ীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিলেন কাঞ্চন, দেখুন বিয়ের পর প্রথম ছব
এখানেই শেষ নয়। বিয়ের পর বাসর জাগার পালা। বাসর রাতের ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন শ্রীময়ী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্রীময়ী যখন সিঁদুর পরা নববধূ লুকে বাসর ঘরে ঢুকলেন, তখন তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে উল্টেই পরে গেলেন উপস্থিত অন্যান্য যুবক-যুবতীরা। ব্য়াকগ্রাউন্ডে তখন বাজল 'প্রিটি ওম্যান' গান। ঘরে সাদা গেঞ্জি আর ট্রাউজারে দেখা গেল কাঞ্চন মল্লিককেও।
এদিকে শনিবার রাতে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে তাঁদের বিয়ে করতে করতেই গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। মুখোমুখি বসে রয়েছেন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী, বিয়ে করতে বসেছিলেন তাঁরা। সামনে থাকা পুরোহিত তখন মন্ত্র পড়ছিলেন। কাঞ্চন মল্লিক অবশ্য সেগুলো মন দিয়ে বলার চেষ্টা করছিলেন। তবে শ্রীময়ী করলেন উল্টোটাই। মনের আনন্দে গলা ছেড়ে গান ধরেছিলেন নতুন বউ। বিয়ের আনন্দে গেয়ে ওঠেন 'চোখে চোখে এত কথা...'।
নতুন বউয়ের মুখে এই গান শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যান কাঞ্চন মল্লিক। কিন্তু শ্রীময়ী যখন তাঁকেও গান গাইতে বলেন তখন তিনি গান গাওয়ার বদলে লজ্জা পেয়ে যান। সেটা দেখেই মশকরা করে শ্রীময়ী চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, 'এ কাঞ্চন ফ্লপ। সুপার ফ্লপ।' শ্রীময়ী-কঞ্চনের বিয়ের ভিডিয়োগুলি দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছে গোটা অনুষ্ঠানটিই বেশ মজাদার হয়ে উঠেছিল।