বলিউডের অন্যতম ভার্সাটাইল অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana)। চেনা ছকে নিজেকে বেঁধে রাখেন না বলিউডের ‘ভিকি ডোনার’। তাই তো ১২ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে স্পার্ম ডোনার থেকে সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান। ছক ভাঙতে ভালোবাসেন অভিনেতা। পর্দার বাইরে স্ত্রী, কন্যা নিয়ে সুখী পরিবার তারকার। আয়ুষ্মানের স্ত্রী তাহিরা কশ্যপও স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে বরাবর পছন্দ করেন। তিনি শুধু একজন তারকা পত্নী নন, অদম্য জেদ নিয়ে মারণরোগ ক্যানসারকে হারিয়েছেন তাহিরা, দুই সন্তানের মা তিনি। পাশাপাশি তাহিরা একজন সফল লেখিকাও। আরও পড়ুন-জীবনে একজন সঠিক মানুষকে বিয়ে করে সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে চাই: জন্মদিনে আনকাট স্বস্তিকা
তবে তাঁদের সম্পর্কও চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্কুলজীবনের প্রেম আয়ুষ্মান-তাহিরার। আজীবন এক নারীতেই আসক্ত অভিনেতা। তবে ২০০৪ সালে আচমকাই দুজনের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, আর সেই দূরত্বের কারণ ছিল আয়ুষ্মানের জীবনে হঠাৎ করে কড়া নাড়া জনপ্রিয়তা। এমটিভি-র জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো রোডিজ-এর দ্বিতীয় সিজন জিতে নিয়েছিলন আয়ুষ্মান। তখনও কুড়ির কোঠা পার করেননি অভিনেতা। নাম-যশ-সাফল্যে মাথা ঘুরে গিয়েছিল তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যখন তোমার বয়স সবে ১৬ বা ১৭,তখন আচমকাই তুমি জনপ্রিয়তা পেলে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। আমার মনে আছে আমি সেই সময় আমার প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপ করে নিয়েছিলাম, কারণ অন্য মেয়েদের থেকে আমি প্রচুর মনোযোগ পাচ্ছিলাম। তখন সদ্য সদ্য আমি পপ্যুলারিটি কী সেটা বুঝতে শিখছি’।
আয়ুষ্মান বলেন, সেই সময় গোটা চণ্ডীগড় জুড়ে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। রাতারাতি সবার চোখের মণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিজের শর্তে জীবনটা বাঁচতে চেয়েছিলেন আয়ুষ্মান। তাই পুরোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘আমি সেই সময় চণ্ডীগড়ের সবচেয়ে ফেমাস পুরুষ ছিলাম। তাহিরার সঙ্গে এই বলে সম্পর্ক ভাঙি, যে আমি নিজের জীবনটা বাঁচতে চাই। তবে ৬ মাস পর ওর কাছে ফিরে গিয়ে বলি, আমার দ্বারা এইসব হবে না। আমি ‘f*** boy’ (লেখার অযোগ্য শব্দ) হতে পারব না’।
২০০৮ সালে, মাত্র ২৩ বছর বয়সে তাহিরাকে বিয়ে করেন আয়ুষ্মান। দম্পতির দুই সন্তান বিরাজবীর (১২) এবং বরুষ্কা (১০)। আয়ুষ্মানকে শেষ দেখা গিয়েছে ড্রিম গার্ল ২ ছবিতে।