দ্বিতীয় বিয়ের আড়াই বছর যেতে না যেতেই ফের সংসার ভাঙল মাহিয়া মাহির। শুক্রবার গভীর রাতে গুঞ্জনকে সত্যি প্রমাণ করে ফেসবুকে ভিডিয়ো বার্তায় ডিভোর্সের ঘোষণা দেন অঙ্কুশের নায়িকা। ওপার বাংলার পাশাপাশি এবার বাংলার ছবিরও পরিচিত মুখ মাহিয়া মাহি। যৌথ প্রযোজনার একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, মাহি ও তাঁর স্বামী কামরুজ্জামান সরকার আলাদা থাকছেন। সেই খবরে সিলমোহর দিয়ে মাহি জানান, ‘আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে'। এরপরই কেঁদে ফেলেন মাহি। বলেন, 'খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।’
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী তথা রাজনীতিবিদ কামরুজ্জামান সরকারকে ওরফে রাকিব ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি। মাহির মতো এটা রাকিবেরও দ্বিতীয় বিয়ে। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুত্র সন্তান ফারিশের জন্ম দেন মাহি।
এর আগে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। ২০২১ সালের ২৩ মে তিনি জানান, অপুর সঙ্গে আর থাকছেন না। তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন। সেইসময়ও ইমোশন্যাল হয়েই বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন মাহি।
শুক্রবার ভিডিয়ো বার্তায় মাহিকে বলতে শোনা গেল, ‘একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না।’ তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই রাকিবের সঙ্গে থাকছেন না, ফারিশকে নিয়ে আলাদা সংসার পেতেছেন। জন্মের পর থেকেই নানান কটূক্তির মুখে পড়েছে মাহির ছেলে। সেই নিয়েও এদিন কান্নাজড়িত গলায় মাহি বলেন, ‘ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
নতুন করে কাজে ফেরার বার্তা দিয়ে মাহি যোগ করেন, ‘আমি নতুন করে কাজ শুরু করব। জীবনে আমার অনেক যুদ্ধ। বাচ্চাটা বড় হবে। ওর জন্য অনেক কিছু করার আছে। সবাই দোয়া করবেন, যেন ফারিশকে নিয়ে আমার পথচলা মসৃণ হয়।’