তৃতীয়ার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন গায়ক অনুপম রায়। কিছুদিন আগেই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ার বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। পিয়া তাঁর নতুন জীবন শুরু করেছেন অভিনেতা পরব্রতর সঙ্গে। আর সেই বিয়ের মাসখানেক যেতে না যেতেই, অনুপমও বিয়ের পিঁড়িতে।
অনুপম রায়ের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও অনেকেই নিজেদের প্রিয় গায়ককে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একাংশের আবার মন খারাপ। হ্যান্ডসাম গায়ককে নতুন করে অন্য কারও জীবনে প্রবেশ করতে দেখতে পারছেন না!
অনুপমের বিয়ের খবর আসতেই সামাজিক মাধ্যমে প্রেমপত্র লিখলেন এক বাংলাদেশের তরুণী। গায়ককে মনের কথা জানালেন একেবারে অকপটে। এমনকী সেই ভালোবাসার চিঠিতে উঠে এল গায়িকার প্রশ্মিতার কথাও।
মোহনা জাহ্নবী নামের সেই মেয়েটি লিখছে, ‘এ মাসেই আমার কাছের কাউকে বলছিলাম, অনুপমের জীবনে নতুন কেউ এসেছে, আমি ওর পালস্ বুঝি। তোমার আধভেজা দুপুরের গল্প শুনলেই বুঝতে পারি, সেখানে কতটা ঝড়-বাদল বয়ে গেছে। যেমন তোমার ছায়া দেখলেই বলে দিতে পারি তুমি ঠিক কোন শার্টটা পরেছো, চুলে ব্যাকব্রাশ করেছ কিংবা হাসির আড়ালে ঘর বেঁধে আছে কিনা কোনও বেওয়ারিশ মেঘ!’
অনুপমের ডিভোর্সের কথাও রয়েছে এই চিঠিতে। লেখা হয়েছে, ‘পিয়া দিদির সাথে তোমার বিচ্ছেদের পর একটা সময় চিন্তা হত, তুমি কি আর বিয়ে করবে না! জীবন তো এখনও অনেকটা বাকি, মা-বাবার অবর্তমানে তোমার মতো ইন্ট্রোভার্ট মানুষটাকে কে দেখে রাখবে, কে আগলে রাখবে, তুমি যে খোলস ভাঙার মানুষ নও, তোমার খুব কষ্ট হবে একা বেঁচে থাকতে। এ ভাবনার সাময়িক অবসান হল এবার। এ সম্পর্কটা তোমার দারুণভাবে টিকে যাক। বারবার ভাঙতে কারই বা ভালোলাগে বলো। প্রেমিকা হিসেবে তোমাকে চাওয়ার চেয়ে তোমার সুখ চাওয়াটা আমার কাছে সবসময়ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নতুন জীবনে নতুন মানুষকে নিয়ে খুব সুন্দর থেকো অনুপম।’
প্রশ্মিতার সঙ্গে অনুপমের বিয়ে যে একটু হলেও আঘাত দিয়েছে তা স্বীকার করলেন একবাক্যে। জুড়লেন, ‘পাওয়া কাকে বলে অনুপম? কাগজ-কলমের সম্পর্ক, এক বিছানায় পাশাপাশি দুটো বালিশ, আলমারিতে শাড়ির ভাঁজে টাই মিশে যাওয়ার গল্প এসবই কি চূড়ান্ত পাওয়া? যদি তাই হয়, তাহলে আমি না হয় তোমাকে সফলভাবেই হারিয়ে ফেললাম। সবাই তো আর পাওয়ার সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায় না।’
সংবাদ অফিসে কাজ করার সুবাদে তিনিই অনুপমের বিয়ের খবর লিখেছেন, মনের ব্যথা লুকিয়ে সেটাও রয়েছে চিঠিতে। ‘অফিসে যখন দুপুরের খাবার খেতে বসেছি, তখনই সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিকের কাছ থেকে তোমার বিয়ের খবর পেলাম। বরফ জমা সমুদ্রের মতো অনুভূতি নিয়ে লাঞ্চ সেরে তোমার বিয়ের নিউজটা অনলাইনে তুলে দিলাম। কাল পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। এমন গরম খবর তাড়াতাড়ি প্রকাশ না করলে কী চলে বলো! সাংবাদিকদের কাছে এটা শুধুই খবর, হট টপিক। আমার কাছে কি, তা যদি কেউ বুঝতো। এক সংবাদ পাঠিকা তার জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর খবর নিজে পাঠ করেছিল। আর আমি তোমার বিয়ের নিউজ তুললাম আমাদের পত্রিকায়। প্রফেশনাল লাইফের নিষ্ঠুরতা অন্যরকম সুন্দর। তোমার নিউজের সাথে আমার নামটা যে জুড়ে থাকলো, সেটুকুইবা কম কীসে বলো। কালকের পেপার কাটিংটাও রেখে দিবো সযত্নে।’, লিখেছেন ওই মেয়েটি।