একসময় সলমন খানের হাত ধরে অর্জুন কাপুর এসেছিলেন সিনেমার দুনিয়ায়। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, স্কুলে বন্ধুদের মস্করা একসময় অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল অর্জুনকে। শ্রীদেবীর সঙ্গে বাবা বনির সম্পর্কে একপ্রকার ভেঙে পড়েছিলেন অর্জুন। পড়াশোনা ছেড়ে দেন। বাড়িতে বসে, ওভার ইটিং থেকে একসময় ওজন পৌঁছে গিয়েছিল ১০০ কোজির উপর। আর সেই সময় ফিটনেসের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সলমন খানই। নিজের হাতে পড়িয়েছিলেন ফিটনেসের পাঠ। তবে সেই সলমনের সঙ্গেই এখন আর সম্পর্ক নেই অর্জুনের। এমনকী, বলিউড পার্টিতে খুব একটা মুখোমুখিও হন না দুজনে। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন বনি কাপুর।
শোশার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, বনি কাপুর প্রকাশ করেছিলেন যে, মোনা সুরির সঙ্গে বিচ্ছেদ সত্ত্বেও, তিনি কখনও ভাবেননি অর্জুন কাপুর আসবেন অভিনয়ে। বরং, অর্জুনকে অভিনেতা বানানোর পিছনে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ ছিল সলমন খানের। এমনকী, ভাইজানের সাহায্য নিয়েই ওজন কমিয়েছিলেন অর্জুন। ফিটনেস সচেতন ছেলের সিনেমার কেরিয়ারের সিংহভাগ কৃতিত্বতই তিনি দিয়ে দেন সলমনের কাছে।
আরও পড়ুন: ৩ কন্যের গোলমালে বক্স অফিস টালমাটাল, ৪ নম্বর দিনে কত আয় কারিনা-টাবু-কৃতির ক্রু-র
‘‘মোনার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর অর্জুন যে একজন অভিনেতা হতে চায় তা আমার মাথাতেও ছিল না। সলমনই আমাকে ডেকে বলেছিলেন, 'বনি স্যার, অর্জুন ভালো অভিনেতা হবে। ওর মধ্যে এটা আছে'।’’, বলেন বনি কাপুর।
‘সলমনের সাহায্যেই আজ ওজন কমিয়ে এত ফিট অর্জুন। আজ তাদের সমীকরণ ভালো নাও হতে পারে তবে তিনি অর্জুনকে (সাপেক্ষে) তাঁর সেরাটি দিয়েছিলেন।’, আরও যোগ করেন বনি।
আরও পড়ুন: উচ্চতা নিয়ে পন্থকে খোঁটা! বিতর্ক বাড়তেই মুখ খুললেন উর্বশী, কার দিকে তুললেন আঙুল
সলমন আর অর্জুনের বর্তমান ইক্যুয়েশন কেমন সেই প্রসঙ্গে বনির থেকে জবাব আসে, ‘তাঁদের টানাপোড়েন সলমনের সঙ্গে আমার সমীকরণ পরিবর্তন করেনি। আমি এখনও তাঁকে ভালবাসি, আমি এখনও অনুভব করি যে তাঁর মতো মানুষ খুব কমই আছে। বড় হৃদয়, উষ্ণ হৃদয়, যখনই আমরা দেখা করি, আমরা ভালবাসার সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাকে অনেক সম্মান দেন এবং আমিও তাঁকে ভালোবাসি।’
অর্জুন কাপুর বর্তমানে মালাইকা অরোরার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন, যিনি আগে সলমন খানের ভাই আরবাজ খানকে বিয়ে করেছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে আছেন অর্জুন ও মালেকা। শোনা যায়, এই সম্পর্কের কারণেই এখন এসেছে দুজনের মধ্যে দূরত্ব। সঙ্গে অর্জুন একসময় সলমনের ছোট বোন অর্পিতা খানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে জানা গেছে। যা ভেঙে যায় ২০০৫ সালে।