বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Probase Ghorkonna-Bong in Sweden: ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ, হাউহাউ করে কান্না 'প্রবাসে ঘরকন্না'র মহুয়ার!

Probase Ghorkonna-Bong in Sweden: ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ, হাউহাউ করে কান্না 'প্রবাসে ঘরকন্না'র মহুয়ার!

প্রবাসে ঘরকন্নার নামে বিস্ফোরক অভিযোগ বং ইন সুইডেনের

Probase Ghorkonna-Bong in Sweden: ফের দুই জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ক্যাট ফাইটের সাক্ষী থাকল সোশ্যাল মিডিয়া। প্রবাসে ঘরকন্নার নামে বিস্ফোরক অভিযোগ বং ইন সুইডেনের। পাল্টা জবাব দিতে চাইলেন না ক্যালিফোর্নিয়ার মহুয়া দি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই নানা বিতর্ক, ঝগড়া, ঝামেলা নজরে পড়ে। দুজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মধ্যে ঝামেলাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু এতদিন যাঁকে সকলে অফুরান ভালোবাসা দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কখনও অভিযোগ করতে পারেননি তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন আরেক ক্রিয়েটর। কাদের কথা বলছি? প্রবাসে ঘরকন্না ওরফে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘মহুয়া দি’ এবং বং ইন সুইডেন ওরফে চন্দ্রিমা এবং মৈনাক।

প্রবাসে ঘরকন্না ভার্সেস বং ইন সুইডেন

ব্যাপারটা কী হয়েছে? কদিন আগে বং ইন সুইডেন নামক এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রবাসে ঘরকন্নার নাম না নিয়েই জানান এই পেজ এবং তাঁর ফলোয়ারদের তরফে নাকি তাঁদের সন্তানকে নিয়ে ভুলভাল কথা রটানো হচ্ছে। সেটা দিয়ে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বং ইন সুইডেন পেজটি যাঁরা চালান অর্থাৎ চন্দ্রিমা এবং মৈনাক জানান তাঁদের সন্তান অটিস্টিক। কিন্তু সেই কথা তাঁরা কাউকে জানিয়ে সমবেদনা নিতে চান না। তাঁদের সন্তান এখন প্রায় স্বাভাবিক। নিজেদের লড়াইয়ের কথা ক্যামেরার সামনে বসে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চন্দ্রিমা। তখন তাঁর স্বামী, মৈনাক নাম না করে বলেন প্রবাসে ঘরকন্নার ফ্যানরা সবসময় তাঁদের অকথ্য ভাষায় কথা বলে, তাঁরা নাকি কপি করে কনটেন্ট করেন এমন অভিযোগ করে। তবে ঝামেলা বেঁধেছে অন্য কারণে মৈনাক কোথাও কখনও একবার তাঁর সন্তান প্রসঙ্গে কিছু বলেছিলেন সেটা স্ক্রিনশট তুলে অনেকেই সেটা ছড়িয়ে বলছেন বং ইন সুইডেন পেজটিকে জনপ্রিয় করতে ওঁরা নাকি ওঁদের সন্তানকে হাতিয়ার করেছেন। এই কথা অস্বীকার করেন তাঁরা দুজনেই। উল্টে বলেন, 'ওই পেজের তরফে টাকা দিয়ে এই কমেন্ট করানো হয়। পেজের মালিক সব জানেন যে তাঁর ভক্তরা কোথায় কী করে বেড়াচ্ছে।' একই সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে বলেন, সুইডেনের সরকার শক্তিশালী। বাচ্চাদের নিয়ে এমন কিছু বললে আর অভিযোগ করলে অন্য দেশ থেকে তুলে এনে সাজা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: ভারতের সিদ্ধান্তে বিদেশে চালের আকাল! কী খাচ্ছেন আমেরিকার বাঙালিরা?

প্রবাসে ঘরকন্নার উত্তর

এমন অভিযোগ পেয়ে পাল্টা উত্তর দেন প্রবাসে ঘরকন্নার মহুয়া। তিনি ইউটিউব লাইভ শুরু করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান, তিনি এসব কিছুই জানতেন না। আর মৈনাক যদি তাঁদের ব্যক্তিগত কথা এভাবে পাবলিকলি না বলতো তাহলে এসব কিছুই হতো না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি তাঁর পেজে কী পোস্ট করছেন সেটার দায় তাঁর, বাকি কোথায় কী হচ্ছে সেটার দায় নয়। মহুয়ার কথায়, 'আমার নামে যা যা বলা হল, আমার ব্যক্তিগত জিনিস, আমায় আয় যেভাবে প্রকাশ্যে আনা হল সেটা কিন্তু মানহানি। এটার বিরুদ্ধে চাইলে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। তাই সতর্ক হন। আর যাঁরা আমার ভক্ত তাঁদের অনুরোধ করছি কোনও শিশুকে এসবের মধ্যে জড়াবেন না।'

দুই পক্ষের ভক্তরাই দুটো ভিডিয়োতে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।

বন্ধ করুন