দেখতে দেখতে শেষ পুজো। ঠাকুর জলে পড়ল মঙ্গলবারেই। তবে পুজোর ছবি নিয়ে উন্মাদনা কমার নামই নিচ্ছে না। পুজোর আমেজে মেতে দশমীতেও হলে ভিড় জমাল বাঙালি। পুজো রিলিজে প্রথম থেকেই এগিয়ে রয়েছে এসভিএফের সিনেমা দশম অবতার। দশমীতেও কি তা টেক্কা দিয়ে গেল দেবের বাঘা যতীনকে?
Tolly Bangla Box Office-এর রিপোর্ট বলছে দশমীতেও বাঙালি মজল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের থ্রিলারেই। বিক্রি হয়েছে ১১.২৩ হাজার টিকিট। যা নবমীর (সোমবারে ১৭ হাজার) থেকে অনেকটাই কম। বাঘা যতীনের টিকিট বিক্রি হল ৮.৭৮ হাজার (সোমবারে টিকিট বিক্রি হয় ১৩ হাজার)। আর রক্তবীজের আয় ৮.৪৫ হাজার ( সোমবারে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১১ হাজার)।
এসভিএফের তরফ থেকে দশমীর রাতে টুইট করে জানানো হয়, ৫ দিনে ১.৮ লাখ দর্শক দেখেছে দশম অবতার।
বাঘা যতীন অভিনেতা, প্রযোজক দেব টুইটারে লিখলেন, ‘৯৫-এর বেশি শো হাউজফুল/ প্রায় ভর্তি ছিল দশমীতে। এভাবেই আমাদের সমর্থন করুন।’
বাঘা যতীন আর দশম অবতার দুটি সিনেমাই একেবারে ভিন্ন ধর্মী। সৃজিতের কপ ইউনিভার্সের চতুর্থ সিনেমা দশম অবতার। এর আগে ‘২২ শ্রাবণ’, ‘ভিঞ্চিদা’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এ পুলিশ অফিসার হিসেবে এসেছে প্রবীর রায়চৌধুরী, বিজয় পোদ্দার, অভিজিৎ পাকরাশি। এই সিনেমায় পাকরাশি না থাকলেও, একসঙ্গে এলেন প্রবীর আর বিজয়। ট্রেলার থেকেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল এই সিনেমায় ভিলেন যিশু। আসলে দশম অবতারের গল্প হল কীভাবে যিশুকে পাকরাও করল দুই দুঁদে অফিসার।
অন্য দিকে, দেবের বাঘা যতীন সিনেমা তুলে ধরে ভারতের স্বাধীনতায় বাঙালির আত্মত্যাগ। স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শুধু নয়, আরও বহু নাম না জানা, অখ্যাত বিপ্লবীর গল্প শোনায় এই সিনেমা। তবে দেখা গেল, বিপ্লবের বীর গাঁথাকে হারিয়ে দিয়েছে খুনের রহস্য।
দশম অবতার নবমী অবধি অর্থাৎ ৫ দিনে আয় করেছিল ৩.৫ কোটি। দশমীর আয় মিলিয়ে ছবি পৌঁছল ৪ কোটির দোরগোড়ায়।
সেভাবে চর্চায় না থাকলেও, হলে ভালোই ফল করছে রক্তবীজ। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা তাঁদের প্রথম থ্রিলার আনল চলতি বছরের পুজোতেই। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর এক অষ্টমীর দিনে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে হয়েছিল এই বিস্ফোরণ। এটাই রক্তবীজের প্লট। তবে সিনেমার প্রয়োজনে বদলে গিয়েছে স্থান-কাল-পাত্র। ছবির বড় পাওনা আবীর চট্টোপাধ্যায়। যদিও মিমি বা ভিক্টর, কেউই মন্দ নন। আর গল্পও বেশ টানটান।