ঘাটালে শিশুমেলা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিনেত চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। অভিনেতা পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের বিধায়কও। তবে ঘাটালে গিয়ে ‘অপমানিত’ হতে হল তাঁকে। অন্তত এমনটাই জানিয়েছে সেখানে উপস্থিত মানুষরা।
জানা গিয়েছে, মেলা কতৃপক্ষের উপর অভিমানে মূল মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন চিরঞ্জিৎ। তবে আয়োজকদের অনেক অনুনয় বিনয়ের পর মাত্র ৪০ সেকেন্ডে বক্তব্য রাখেন, আর তারপর ফের মঞ্চ ছাড়েন।
আসলে ঘাটাল শিশুমেলা উদ্বোধনে ডাকা হয়েছিল অভিনেতা-বিধায়ককে। উদ্বোধনের পর উপস্থিত সকলে ওঠেন মঞ্চে। এরপর দেখা যায়, সেখানে থাকা সবাই বক্তব্য রাখলেও প্রথম দিকে ডাক আসেনি চিরঞ্জিতের। আর সেটাই ‘অপমানে লাগে’। নেমে যান মূল মঞ্চ থেকে। তারপর তড়িঘড়ি চিরঞ্জিতের ‘মান ভাঙাতে’ লেগে পড়েন মেলার আয়োজকরা। অনেক অনুরোধের পর মঞ্চে ফিরে আসেন তিনি। এমনকী, অনুনয়ের পর বক্তব্যও রাখেন। তবে মাইকের সামনে মাত্র ৪০ সেকেন্ড কথা বলেন চিরঞ্জিত।
সেখানে উপস্থিত সকলকে চিরঞ্জিত বলেন, ‘সকলে মেলা দেখতে এসেছেন, মেলা উপভোগ করুন। তাপমাত্রা ভালো আছে। এটা ভগবানের এসি। তাই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন এটাই আমি চাই। মেলা ৩৫ বছর হল। আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল, যেন মেলা ভালো হয়।’
ঘাটালের শিশুমেলা বহু পুরনো। মেলার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এখানে। এবারেও স্থানীয় শিল্পীরা ছাড়া দেখা যাবে মঞ্চে নন্দী সিস্টার্স, নীতি মোহন, ঊষা উত্থুপ, বুলেট, রাফা ইয়াসমিন, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, জাভে আলি, ঋষি সিং ও মহম্মদ ইরফানদের।
জন্মদিনে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত এর আগে জানিয়েছিলেন ভোটে দাঁড়াতে চান না আর তিনি। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘এক আমার বয়স বাড়ছে, আর দ্বিতীয়ত আমার রাজনীতিতে কোনও আগ্রহ নেই। কাদা ছোড়ছুড়ি, মিছিলে হাঁটা আমার পছন্দ নয়। আমার একটা সৎ ইমেজ আছে, আমি রাজনীতি করি না। ঘুষ নিই না, মন্ত্রী হওয়ার লোভও নেই।…দশটা বাড়ি, ২টো বাংলো করতে গিয়ে গরুপাচার, কয়লা পাচারে নাম জড়াক, তেমন জীবন চাই না।’
আর এই সাক্ষাৎকারে পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাহলে কি চিরঞ্জিতের ইঙ্গিত ছিল দেবের দিকেই? এর আগে প্রকাশ্যে বুম্বাদাকেও (প্রসেনজিৎ) কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল চিরঞ্জিতকে।