এই তো কয়েকদিন হল সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাত্রী সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। পরম-পিয়ার এই বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার শেষ নেই। লোকজনের কৌতুহলেরও শেষ নেই। কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে দিয়েছেন নেটপাড়ার কিছু নীতি পুলিশ। অনেকেই পরম-পিয়ার দোষ বের করে অনুপম রায়ের জন্য সমব্যথী হয়েছেন। তবে এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
কিন্তু এখন অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ পরম-পিয়াকে নিয়ে কেন কথা বলেছেন চিরঞ্জিৎ? আসলে তিনি হাজির হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের খাদি মেলার উদ্বোধনে। সেখানে সাংবাদিকদের নানান কথায় উঠে আসে 'পরমপিয়া'র বিয়ে প্রসঙ্গ। তখনই এবিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
মজা করে অভিনেতা বলেন, ‘বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে…’। তাঁর কথায়, ‘এখন চারদিকে দেখছি বউ হারাচ্ছে আর পাচ্ছে। তাই আদিপুরুষের ডায়ালগ বলে দিয়েছি, সেটাই আবার রিপিট করলাম। বহু বছর ধরে সেই কথাটাই হিট।’ প্রশ্ন করা হয়, আপনার ফিল্মি ডায়ালগই তাহলে বাস্তাবায়িত হল? উত্তরে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘সবসময়ই হচ্ছে, এখন একটু ঘনঘনই হচ্ছে এই আর কী!’
আরও পড়ুন-আজই Engagement, 'বিয়েতে আমি সাবেকি সাজে সাজব', প্রেম থেকে বিয়ের থিম, অকপট সন্দীপ্তা
এদিকে সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন পিয়া চক্রবর্তীকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের বন্য বয়ে গিয়েছে। যদিও এই ট্রোলিং নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘আমার বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেল। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয় যে আবির অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে বিয়েটা করে ফেলেছি। জানি না বিয়ের পর মুহূর্ত থেকে অচেনা-অজানা মানুষদের থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা নোংরা, অসভ্য অশালীন মন্তব্য শুনে আমার মানসিক অবস্থা কী হত! ভাববেন না কোনও এক তারকার সঙ্গীকেই এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারও রেহাই নেই। কাউকে বডি শেমিং করা হয়, তো কাউকে কথা শুনতে হয় আগের সম্পর্ক নিয়ে। কোনও না কোনও কারণে আপনাকে নোংরা কথা শুনতে হবেই। সব কিছু নিঁখুত-সুন্দর হলেও শুনতে হবে। কী অসাধারণ সমাজ আমাদের।’
এদিকে নন্দিনীর লেখার নিচে কমেন্ট বক্সে ক্ষোভ উগরে দেন পিয়াও। তিনি লেখেন, ‘ট্রোলিং অত্যন্ত টক্সিক। আমিও বুঝেছি সময়ের সঙ্গে, তুমিও জেনে রাখো- নিজের অন্তর্জগৎটা যদি সুন্দর থাকে, যদি আনন্দে আর শান্তিতে থাকে, এসব ধুলোর মতো মিলিয়ে যায়। আমাকে আর স্পর্শ করে না এগুলো। অনেক অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আজ আমার এই উপলব্ধ হয়েছে। তোমাকে অনেক ভালবাসা, দেখা হবে।’