পারিবারিক শত্রুতার জেরে ভুয়ো মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল! বহু বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফেরা। বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হয়ে কাছের মানুষদের কাছে ফেরা যেন নতুন জন্মের মতোই সুন্দর। বুধবার দিনটা সড়ক-২ অভিনেত্রী ক্রিসন পরেরা কাছে তেমনই একটা দিন। ক্রিসনের দেশে ফেরার খবর জানিয়েছেন তাঁর ভাই কেভিন পরেরা।
বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে বোন ক্রিসনের সঙ্গে আবারও মিলিত হওয়ার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কেভিন পরেরা। লিখেছেন, ‘ক্রিসন অবশেষে ফিরে এসেছে এবং আমাদের সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছে। আমি জানি যে আমি জুন মাসে জানিয়েছিলাম যে ক্রিসন ফিরে আসবে কিন্তু এতে কিছুটা বেশি সময় লেগেছে এবং অবশেষে ও ফিরে এসেছে।’ কেভিনের শেয়ার করা ভিডিয়োতে বিমানবন্দরে নেমে তাঁকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছে বোন ক্রিসনকে। তরপর একে একে মা এবং আদরের পোষ্যর সঙ্গে ও মিলিত হন সড়ক ২ অভিনেত্রী। সেই আবেগঘন মুহূর্তটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন ক্রিসন পরেরা।
আরও পড়ুন-বারে গিয়ে গায়িকা শ্রাবণকে বেশি টাকার প্রস্তাব ওমের, তারপর?
আরও একটি পোস্টে ক্রিসনের ভাই কেভিন লিখেছেন, এটা খুশির থেকেও বেশিকিছু, আবেগের বিষয়। ক্রিসন অবশেষে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি, বৃহস্পতিবার, ৩ অগস্ট সকাল ১১.৩০-এ আমরা মুম্বই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও দেখা করব। অর্থাৎ আজই ৩ অগস্ট, ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন ক্রিসন পরেরা।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে কেভিন পরেরা আরও লিখেছেন, ‘আমার বোনের এই মামলা চলাকালীন আপনারা যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আমি এখনও সকলকে উত্তর দিয়ে উঠতে পারিনি। আপনাদের পাশে থাকা আমার কাছে একটা বড় বিষয় ছিল। শুধু জেনে রাখুন যে আমি আপনাদের প্রত্যেকের কাছে এবং সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। এখানে সফল হওয়ার জন্য আপনাদের অবদানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পরে যা কিছু হবে আমি বিষয়ে আপনাদের নিশ্চয় জানাব। আপনাদের সকলকে আবারও একবার ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গত মাদক চোরা চালানের মামলায় নাম জড়িয়েছিল ক্রিসনের পরেরা। তবে পরে জানা যায়, পারিবারিক ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরে ক্রিসনকে ফাঁসিয়েছেন কিছু লোকজন। চক্রীরাই ক্রিসনকে অভিনয়ের সুযোগের নামে দুবাই যেতে বলেন। ক্রিসন দুবাই উড়ে যাওয়ার আগে তাঁর হাতে একটি ট্রফি দেওয়া হয়, আর তাতেই নাকি মাদক রাখা ছিল। এরপর শারজা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়েছিল ক্রিসনকে। বেশকিছুদিন জেলবন্দি থাকার পরি, পরিবারের তৎপরতায়, মুম্বই পুলিশের সাহায্যে ক্রিসন ছাড়া পান। এদিকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয় এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড অ্যান্টনি পল ও তাঁর সহযোগী রাজেশ বাভোতে ওরফে রবিকে।