বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Taslima Nasrin: ‘মেয়েদের সুডোল স্তন দেখতে ভালো লাগে’, তসলিমার মন্তব্য নিয়ে দু’ভাগ নেটদুনিয়া

Taslima Nasrin: ‘মেয়েদের সুডোল স্তন দেখতে ভালো লাগে’, তসলিমার মন্তব্য নিয়ে দু’ভাগ নেটদুনিয়া

তসলিমার মন্তব্য বিরাট তর্কে নেটদুনিয়া। 

এক পক্ষের দাবি, তসলিমা বডি শেমিং করছেন। আর এক পক্ষ বলছে, সত্যি কথা স্পষ্ট করে বলার মধ্যে লজ্জা নেই।  

সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী ও পুরুষের শরীরের সৌন্দর্য নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন তসলিমা নাসরিন। লিখেছেন, ‘সুগোল সুডোল ফার্ম স্তন দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। মেয়েরা স্তন দেখানো, ক্লিভেজ দেখানো জামা পরলে বেশ লাগে দেখতে।’ শুধু নারী নয়, পুরুষের কী ভালো লাগে, তাও বলেছেন তিনি। ‘সুদর্শন পুরুষেরা যেমন শর্টস পরলে বা সুঠাম বাইসেপ দেখানো স্লিভলেস টিশার্ট, বুকের লোম দেখানো ডীপ ভি নেক টিশার্ট পরলে দেখতে ভালো লাগে।’ তসলিমার এই পোস্টের পর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী এবং পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্য এবং শরীরের কোন কোন অংশ তাঁর দেখতে ভালোলাগে, তা নিয়ে মতামত জানিয়েছিলেন তসলিমা। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, ‘কিন্তু আজকাল কী যে হয়েছে, যার স্তন দেখতে ভালো নয়, স্যাগিং, বা প্রায় ফ্ল্যাট, তারাও, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক জগতের সেলেব্রিটিরা ডীপ ভি নেক ড্রেস পরেন।’ বিতর্ক শুরু এখান থেকেই। (আরও পড়ুন: স্তনের ভালো-মন্দ ব্যাখ্যা তসলিমার, বললেন ছেলেদের বুকের লোম দেখানো জামা ভালো লাগে)

এর পর থেকেই তসলিমাকে নিয়ে দু’ভাগে ভাগ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কারও প্রশ্ন, ‘এই তসলিমা নাসরিনই কি সেই তসলিমা যাঁর থেকে মুক্ত চিন্তা শিখেছিলাম!’। তেমনই আবার কেউ লিখেছেন, ‘লেখক ওঁর ভালোলাগাটা প্রকাশ করেছেন। আশা করা বা না করার তো কিছু নেই। এত প্রত্যাশা কেন! আমারও যে কোনও পোশাকেই সে যেমনই হোক, নারীকে ভালো লাগে। খারাপ তখনই লাগে যখন কেউ বুদ্ধি দিয়ে কিছু বিচার না করে ক্ষতিকারক কাজকর্ম করে ফেলে।’

তবে পোস্টের তলায় মন্তব্য়ের বন্যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে শালীনতার সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। সরসারি তির্যক ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে তসলিমাকে। যদিও সে সব নিয়ে লেখিকার যে বিশেষ মাথাব্যথা নেই, তা পরিষ্কার। কারণ এর পরে আর এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আবার পলিটিক্যালি কারেক্ট কবে হলাম? চিরকালই আমি পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট। সে কারণেই আমার শত্রুর শেষ নেই, সে কারণেই ফতোয়া, মিছিল, হুলিয়া জারি, দেশ থেকে বিতাড়ন, বই ব্যান। অন্য দেশেও একই পরিস্থিতি, গৃহবন্দিত্ব, রাজ্য থেকে বিতাড়ন, দেশত্যাগে বাধ্য করা। সর্বত্র ব্রাত্য আমি।’ এই পোস্ট সম্পর্কে তাঁর যুক্তি, ‘মোটাদের জন্য এক ধরণের পোশাক, স্লিমদের জন্য আরেক। লম্বাদের জন্য এক রকম, বেঁটেদের জন্য আরেক। তরুণীদের জন্য এক রকম, বৃদ্ধাদের জন্য আরেক। আওয়ারগ্লাস বডি হলে এক রকম, না হলে আরেক রকম।… এ বডিশেমিং নয়, বরং বডিশেমিং থেকে মেয়েদের বাঁচানো। এর নাম সত্য কথন। চরম তসলিমাবিদ্বেষীরাও তা জানে। জানে কিন্তু মুখে উল্টোটা বলবে।’

মোট কথা সব মিলিয়ে আবার বিতর্কের কেন্দ্রে লেখিকা। তাঁর কথার সূত্র ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুযুধান দুই গোষ্ঠী।

বন্ধ করুন