শ্যুটিং ঘিরে স্টুডিওপাড়ায় ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড-এর গ্রাসে পড়েছেন টেলিভিশন ও রুপোলি পর্দার একাধিক তারকা। চৈতি ঘোষাল, জিতু কমলের মতো তারকারা অসুখ লুকিয়ে কাজের অভিযোগ এনেছিলেন। গত ৩-রা মে থেকেই লকডাউন পরবর্তী এসওপি মেনে শ্যুটিং শুরু হয়েছে। ছবির শ্যুটিং এই মুহূর্তে মোটামুটি বন্ধ রয়েছে, তবে পুরোদমে চলছে টেলিভিশন শ্যুটিংয়ের কাজ। সোমবার সকালে ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওর ১৩৬ জন টেকনিশিয়ানের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল, সন্ধ্যায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ১০ জনের, খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
‘মিঠাই’,‘এই পথ যদি না শেষ হয়’,'অগ্নিশিখা'-র মতো ধারাবাহিকের টেকনিশিয়ানরা রয়েছেন এই তালিকায়। স্টেস্ট করা না হলে অবলীলায় শ্যুটিং করতেন করোনা পজিটিভ দশ জনেই, কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে, এবং চিকিত্সার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিন পর ফের এই ধরণের ব়্যাপিড করোনা টেস্ট করা হবে শ্যুটিং সেটে, জানিয়েছেন স্বরূপ বিশ্বাস।
এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই উদ্বেগ ঘানাচ্ছে টলিউডে, এবার কী বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুটিং? এই প্রসঙ্গে স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'লকডাউনে টেকনিশিয়ানরা কতখানি দুর্ভোগে থেকেছেন তা আমাদের অজানা নয়। তাই শ্যুটিং বন্ধের কোনও প্রশ্ন নেই'। স্টুডিওপাড়ার অন্দরমহলে খবর একমাত্র কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে শ্যুটিং বন্ধের নির্দেশ এলে তবেই বন্ধ হবে শ্যুটিং। এই কোভিড টেস্ট ড্রাইভের জেরে উপকৃত হবেন স্টুডিওপাড়ার সকলে বিশ্বাসী স্বরূপ বিশ্বাস।
ইতিমধ্যেই করোনার জেরে শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে। আউটডোর শ্যুটিং কমিয়ে আনা হয়েছে, আর্টিস্টরা ১০ ঘন্টার বেশি শ্যুটিং করতে পারবেন না সাফ জানানো হয়েছে এসওপি-তে। এছাড়াও রাত ৮টার মধ্যে শ্যুটিং শেষ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একসঙ্গে সেটে ৩৫ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।